বিমান সংকট
৫ এপ্রিল ২০১২বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বা ‘বিমান' এখন ২০টি আন্তর্জাতিক এবং ৩টি অভ্যন্তরীণ রুটে উড়োজাহাজ পরিচালনা করছে৷ বিমান বাঁচাও ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মুশিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, ২০০৭ সালে বিমানকে যখন লিমিটেড কোম্পানি করা হয়, তখন বিমান একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল৷ কিন্তু ২০০৯ সালে বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের পরিচালনা পরিষদ দায়িত্ব নেয়ার পর, এটা একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে৷
মুশিকুর রহমান বলেন, এখন বিমানের দেনার পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা৷ এছাড়া, নতুন কেনা বিমানের কিস্তি পরিশোধ করা যাচ্ছেনা৷ এমনকি কর্মচারীদের পেনশনের টাকাও খরচ করে ফেলা হচ্ছে৷ এভাবে চলতে থাকলে দেউলিয়া হয়ে যাবে ‘বিমান'৷
বিমানের পরিচালনা পরিষদ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিমানকে ধ্বংস করছে৷ বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজ বসিয়ে রেখে নিজেরা লাভবান হতে ভাড়া বা লিজে আনা উড়োজাহাজ দিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে৷ তাই এই পরিচালনা পরিষদের অপসারণ ছাড়া বিমানকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে দাবি মুশিকুর রহমানের৷
বিমানকর্মীরা গত ৫ই মার্চ থেকে চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পরিষদের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন৷ এরপর থেকেই চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ বলাকা ভবনের অফিসে যাচ্ছেন না৷ তাঁর কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন কর্মচারীরা৷ এখন ১৬ই এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে যদি ধর্মঘট শুরু হয়, তাহলে শুধু বিমানের উড়োজাহাজ চলাচলই বন্ধ থাকবেনা, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও অচল হয়ে পড়বে৷ কারণ সব বিদেশি এয়ালাইনের উড়োজাহাজের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংসহ নানা ধরনের সেবা দেন বিমান কর্মীরা৷ আর এতে উদ্বিগ্ন যাত্রীরা৷
এদিকে বিমানমন্ত্রী ফারুক খান বিমানের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে তিনি স্বীকার করেন বিমানের পরিচালনায় আরো দক্ষতা প্রয়োজন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ