বিশ্বকাঁপানো করমর্দন
কয়েকযুগ ধরে চলছে দুই কোরিয়ার বিরোধ৷ ২৭ এপ্রিল সীমান্তে দাঁড়িয়ে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট করমর্দন করলেন৷ তৈরি হলো ইতিহাস৷ এরকম করমদর্দনের বেশকিছু নজির রয়েছে অতীতে৷ দেখে আসা যাক ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তগুলো...
ফিলিস্তিনের শান্তি
নরওয়ের অসলোতে কয়েকমাস গোপন আলোচনার পর ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিন এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গ্যানাইজেশন (পিএলও)-র প্রধান ইয়াসির আরাফাত নিজেদের মধ্যে শান্তি স্থাপনে একমত হন৷ ছবিটি ১৯৯৩ সালে সেপ্টেম্বরের ১৩ দারিখে তোলা৷ হোয়াইট হাউজের দক্ষিণ লনে দুই নেতা দাঁড়িয়ে আছেন৷
কিউবা-অ্যামেরিকার করমর্দন
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরস্পরের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন দেশ কিউবা আর অ্যামেরিকা৷ ২০১৩ সালে নেলসন ম্যান্ডেলার স্মরণ অনুষ্ঠানে অ্যামেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো হাত মেলান৷ পরে ২০১৬ সালে ওবামা ৮৮ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিউবা সফর করেন৷
আয়ারল্যান্ডে রক্তক্ষয়ের অবসান
ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের সাথে আয়ারল্যান্ডের সাবেক সশস্ত্র বিদ্রোহী দল আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির প্রধান কমান্ডার ম্যাকগিনিসের করমর্দনও একটি ঐতিহাসিক ঘটনা৷ ২০১২ সালে রানি যখন উত্তর আয়ারল্যান্ড সফরে যান, তখন ম্যাকগিনিস তাঁর সাথে করমর্দন করেন৷
চীন-তাইওয়ান মিলন!
১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পর দীর্ঘদিন চীন ও তাইওয়ানের সম্পর্ক দা-কুমড়া ছিল৷ ২০১৫ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও তাইওয়ানের মা ইং জেও সিঙ্গারের এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন৷ সেখানে তাঁরা কয়েক মিনিট ধরে কথা বলেন এবং করমর্দন করেন৷
দুই কোরিয়ার মিলন
দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের সাক্ষাৎ অতি সাধারণ ঘটনা৷ কিন্তু শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন যখন সীমান্তে মিলিত হয়ে সহাস্যে করমর্দন করলেন, তা অবশ্যই এক ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷ কারণ, প্রায় ৬৫ বছর আগে কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ শেষ হবার পর থেকে উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা দক্ষিণ কোরিয়ায় পা রাখেননি৷