বিশ্বকাপের আগে আসল পরীক্ষার অপেক্ষায় ব্রাজিল
১০ জুন ২০১৩২০১৪ বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল৷ আয়োজনের প্রস্তুতি এখন ভালোই৷ কিন্তু ১৫ মাস আগে স্টেডিয়ামগুলোর দুরবস্থা, নানা পর্যায়ে দুর্নীতি, অব্যবস্থা দেখে খোদ ফিফা সাধারণ সম্পাদক জেরম ভালকে বলেছিলেন, ‘‘ওদের (আয়োজক কর্মকর্তাদের) পাছায় লাথি দেয়া উচিত৷'' সেই ব্রাজিলে বরাবরের নিয়মে বিশ্বকাপের এক বছর আগেই শুরু হচ্ছে কনফেডারেশন্স কাপ৷ শুরু হবে আগামী ১৫ জুন থেকে৷ ব্রাজিলের ফুটবল কর্মকর্তা এবং সমর্থকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ৷ ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হলে সবারই একদিক থেকে পোয়াবারো, আগামী বছরের ১২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ষষ্ঠ সাফল্যের আশা তাহলে বাড়বে৷ সঙ্গে চাই বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবেও নিশ্চিন্ত থাকার মতো কনফেডারেশন্স কাপ আয়োজনের অভিজ্ঞতা৷ ব্রাজিল এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারবে তো?
কনফেডারেশন কাপের (১৯৯৭, ২০০৫ ও ২০০৯) তিনবারের চ্যাম্পিয়নের জন্য মাঠের খেলায় সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়া কঠিন৷ ২০০৩ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ জেতানো লুই ফেলিপে স্কোলারি কোচ হিসেবে ফিরেছেন৷ তাঁর অধীনে নেইমাররা ছয়টি ম্যাচের চারটিতে ড্র করে উন্নতির সামান্য ইঙ্গিত রাখলেও ফিফা ব়্যাংকি-এ তাঁরা এখন ২২তম স্থানে৷ পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী দেশ এমন দুরবস্থায় কমই পড়েছে৷ অথচ গ্রুপ ‘এ'-তে ইটালি, জাপান আর মেক্সিকোর মুখোমুখি হতে হবে৷ গ্রুপ পর্ব পেরোলেও অন্য গ্রুপের স্পেনের আশাভঙ্গ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়া আপাত দৃষ্টিতে কঠিনই৷ আরেকটা বড় সমস্যা আয়োজক হওয়া৷ আয়োজক হয়ে ব্রাজিল কখনো বিশ্বকাপ বা কনফেডারেশন্স কাপ জিততে পারেনি৷
তবে বড় স্বস্তির হাতছানি এখন আয়োজক হিসেবে সাফল্যের সম্ভাবনাতেই৷ কনফেডারেশন্স কাপের খেলাগুলো হবে আগামী বিশ্বকাপের ভেন্যু ব্রাসিলিয়া, রিও, রেসিফে, বেলো হরিজনতে, ফরতালেসা এবং সালভাদোরের স্টেডিয়ামে৷ স্টেডিয়ামগুলোর অবস্থা ১৫ মাস আগের চেয়ে অনেক ভালো৷ যাঁর-তাঁর সার্টিফিকেট নয়, আয়োজনে জড়িত কর্মকর্তাদের রেগেমেগে লাথি মারতে চাওয়া ভালকেও এখন বেশ সন্তুষ্ট৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)