বিশ্বকাপে ব্রাজিলে মূল্যস্ফীতি
২৫ এপ্রিল ২০১৪জুন থেকে মাসব্যাপী যে বিশ্বকাপ চলবে তার ফলে ব্রাজিলে পর্যটকের সমাগম ঘটবে অন্তত ৬ লাখ৷ ফলে বেড়ে যাবে বিমানের টিকিট, হোটেলে থাকা এবং রেস্তোরাঁয় খাবার খরচ৷ এখনই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ মূল্যবৃদ্ধির কারণে হিমশিম খাচ্ছেন৷ কেননা মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬.১৯ শতাংশে৷
ব্রাজিলের বেলো হরাইজোন্তের ইবমেক বিজনেস স্কুলের অর্থনীতির অধ্যাপক রেগিনাল্দো নগুইরা বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ সরকারের জন্য পুরো পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে৷ স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ, নগর সংস্কারসহ নানা কাজে বিপুল ব্যয় মেটাতে বিপর্যস্ত ব্রাজিল সরকার৷'' অক্টোবরে যেখানে রুসেফ পরবর্তী নির্বাচনের লড়ার চিন্তাভাবনা করছেন, সেখানে বর্তমান পরিস্থিতি বিরূপ হয়ে উঠেছে৷
নগুইরা বলছেন, ‘‘পুরো ২০১৪ সালে মূল্যস্ফীতি ২.৫ থেকে ৬.০-এর মধ্যে রাখলে ব্রাজিল তার লক্ষ্যে পৌঁছাবে৷'' তবে বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা৷ কেবল জুন মাসেই মূল্যস্ফীতি ০.৩৫ ভাগ হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷ অনেক অর্থনীতিবিদ অবশ্য এ বিষয়ে একমত যে, বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর মূল্যস্ফীতি অনেকটাই কমে আসবে৷ কিন্তু কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে বা অদূর ভবিষ্যতে বাড়বে, বিশ্বকাপের পর তা সেই হারে কমবে না৷
বর্তমানে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে জনরোষের মুখে পড়েছে৷ এরই মধ্যে সাধারণ মানুষ তাঁদের ক্ষোভ জানাতে শুরু করেছেন৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সেই প্রতিক্রিয়ার দেখা মিলছে৷ ফেসবুকে একটি পাতায় খোলা হয়েছে ‘রিও সুরিয়াল' নামে৷ ঐ পাতার মূল উদ্দেশ্য রিও ডি জানেরোতে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করা৷ সেখানে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘‘শুক্রবারে রিও-তে বিয়ার খেতে গেলেও এখন ধনী হতে হবে৷ কেননা বিয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে চার ডলার৷''
এদিকে রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় এখনই বেড়েছে হোটেল কক্ষের ভাড়া৷ স্টেডিয়ামের কাছের একটি হোটেলে একটি কক্ষের একদিনের ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৬০০ ডলার৷ আর টুর্নামেন্ট চলাকালে সেই কক্ষের ভাড়া বেড়ে দাঁড়াবে ১,০০০ মার্কিন ডলারে৷
এপিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)