বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা
বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই উন্মাদনা৷ আর সেই উন্মাদনা ঐ গোলপোস্টকে ঘিরেই৷ তাই যারা গোল করেন তারাই হয়ে ওঠেন সবচেয়ে জনপ্রিয়৷ এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে যাঁরা প্রতিপক্ষের জালে অন্তত ১০ বার বল জড়িয়েছেন তাঁদের নিয়ে এই ছবিঘর৷
মিরোস্লাফ ক্লোজে
ক্লোজে হলেন জার্মানির সৌভাগ্যের প্রতীক৷ যে ম্যাচেই তিনি দেশের হয়ে গোল করেছেন সে ম্যাচেই দল জিতেছে৷ তিনি জার্মানির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা৷ ১৬টি গোল নিয়ে বিশ্বকাপেরও সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি৷ ২০১৪ বিশ্বকাপে ২টি গোল করে তিনি ব্রাজিলের রোনালদোকে টপকে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন৷ অংশ নিয়েছেন ২০০২, ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে৷ জিতেছেন ২০১৪ বিশ্বকাপ৷
রোনালডো
ব্রাজিলের এই কিংবদন্তীকে বলা হয় বিশ্বের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন৷ ‘দি ফেনোমেনোন’খ্যাত এই তারকা তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়, দু’বার ব্যালন ডি’অর ও একবার উয়েফার সেরা ক্লাব ফুটবলার এবং ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জেতেন৷ ব্রাজিলের হয়ে তিনি ৯৮ ম্যাচে ৬২টি গোল করেন, যার ১৫টিই বিশ্বকাপে৷ ১৯৯৮ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল ও ২০০২ আসরে জেতেন গোল্ডেন বুট৷
গ্যার্ড ম্যুলার
পশ্চিম জার্মানির হয়ে খেলেছেন তিনি৷ প্রতিপক্ষের জালে বল ফেলার দক্ষতার জন্য তাঁকে সর্বকালের সেরাদের একজন হিসেবে মানা হয়৷ এই জার্মান কিংবদন্তীর ফিনিশিং ছিল অনবদ্য৷ দেশের হয়ে ৬২ ম্যাচে করেছেন ৬৮ গোল, যার ১৪টিই এসেছে বিশ্বকাপে তাঁর খেলা ১৩ ম্যাচে৷
জিস্ট ফুঁতেন
এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডটি তাঁর৷ একবারই বিশ্বকাপ খেলেছেন এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড, ১৯৫৮ সালে৷ সে বিশ্বকাপেই ৬ ম্যাচে করেছেন ১৩ গোল৷
পেলে
‘কালো মানিক’ নাম তাঁর৷ তাঁকে অনেকেই ফুটবলের সর্বকালের সেরা বলেই মানেন৷ ব্রাজিলিয়ান এই মহাতারকার বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচে ১২ গোল৷ এই তালিকায় একমাত্র তিনিই তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছেন৷
সান্দোর পিতার কচিশ
হাঙ্গেরির এই দুর্দান্ত ফিনিশার তাঁর সময়ে সেরাদের একজন ছিলেন৷ ১৯৫২ ও ৫৪ সালে তিনি যে কোনো ইউরোপিয়ান লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন৷ দেশের হয়ে ৬৮ ম্যাচে করেছেন ৭৫ গোল৷ ১৯৫৪ বিশ্বকাপে তিনি ১১ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন৷ একই বিশ্বকাপে দুইবার হ্যাট্রিক করার রেকর্ড তিনিই প্রথম গড়েন৷
ক্লিন্সমান
ক্লিন্সমান জার্মানির তারকা ফুটবলার ও কোচ৷ তিনি ২০০৬ বিশ্বকাপে জার্মানির কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ পশ্চিম জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন প্রথম ১৯৯০ সালে৷ এরপর ’৯৪ ও ’৯৮-এ খেলেছেন একীভূত জার্মানির হয়ে৷ বিশ্বকাপে তাঁরও মোট গোলসংখ্যা ১১৷
হেলমুট রান
পশ্চিম জার্মানির এই কিংবদন্তীর নাম ছিল ‘দ্য বস’৷ ১৯৫৪-র বিশ্বকাপের ফাইনালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন তিনি৷ বিশ্বকাপে তাঁর মোট গোলসংখ্যা ১০৷
গ্যারি লিনেকার
১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন তিনি৷ এরপর ৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ৮০ ম্যাচে গোল করেছেন ৪৮টি৷ ৮৬’র বিশ্বকাপে জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন বুট৷ বিশ্বকাপে তাঁর গোলসংখ্যা ১০টি৷
গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা
আর্জেন্টাইন এই গোল মায়েস্ত্রোর গোলগুলোকে বলা হতো ‘বাতিগোল’৷ বিশ্বকাপে তাঁরও গোলসংখ্যা ১০টি৷ ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন তিনি৷
আরো যাঁরা
বিশ্বকাপে দশ গোল করাদের তালিকায় আরো আছেন পেরুর কুবিলাস, জার্মানির টোমাস ম্যুলার ও পোল্যান্ডের লাটো৷ এর মধ্যে টোমাস ম্যুলার এখনো খেলছেন জার্মানির হয়ে৷ তাই তাঁর সামনে আছে গুরুদের টপকে যাবার সুযোগ৷