১২২ জনের একজন শরণার্থী!
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর শরণার্থীর সংখ্যা ‘৬০ মিলিয়নের চেয়ে অনেক বেশি' হবে৷ এর অর্থ, বিশ্বের প্রতি ১২২ জনের একজনকে তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে৷
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ২০.২ মিলিয়ন – ২০১১ সালের তুলনায় সংখ্যাটি প্রায় ৪৫ শতাংশ বেশি৷ সিরিয়ায় সংঘাতের কারণে এ বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৪.২ মিলিয়ন মানুষকে শরণার্থীর জীবন বেছে নিতে হয়েছে৷
শরণার্থীদের একটি অংশ ইউরোপে আসতে আগ্রহী৷ এ জন্য তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট্ট নৌকা করে সাগর পাড়ি দিচ্ছে৷ ইউএনএইচসিআর-এর গ্রিস শাখা জানিয়েছে, চলতি বছর প্রায় ৮ লক্ষ শরণার্থী সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসে পৌঁছেছে৷ এদের মধ্যে ৯১ শতাংশই এসেছে ১০টি দেশ থেকে, যেখানকার নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি শরণার্থী হচ্ছে৷
এ বছরের প্রথম ছয় মাসে জার্মানিতে প্রায় ১ লক্ষ ৫৯ হাজার আশ্রয়ের আবেদন পড়েছে৷ সংখ্যাটি ২০১৪ সালের মোট আবেদনের কাছাকাছি৷ অবশ্য জুন মাসের পর জার্মানিতে শরণার্থী আসার হার অনেক বেড়ে গেছে৷ ফলে বছর শেষে জার্মানিতে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ ছুঁয়ে যেতে পারে৷
ইউরোপে আসা শরণার্থীদের ইইউ-র দেশগুলোতে ভাগ করে নেয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তার ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ এই প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে তিনি ইইউ-র দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন৷ ইউরোপীয় কমিশন এর উদ্যোগে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে৷
বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা বাড়লেও শরণার্থীদের দেশে ফিরে যাওয়ার হার কমে গেছে৷ ইউএনএইচসিআর-এর মতে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মাত্র ৮৪ হাজার শরণার্থী তাদের দেশে ফিরে গেছেন৷ সংখ্যাটি গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)
শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু শরণার্থীদের দেশে ফিরে যাওয়ার হার কমে গেছে৷ এভাবে চলতে থাকলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷