বিশ্বের সেরা ‘ব্র্যান্ড’: জার্মানি
১৭ নভেম্বর ২০১৪সুবিশাল অনলাইন জরিপ৷ বিশটি শিল্পোন্নত এবং উত্থানশীল দেশের বিশ হাজারের বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, প্রতি দেশ থেকে অন্তত এক হাজার উত্তরদাতা৷ মোট ৫০টি দেশ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে৷ উত্তরদাতারা দেশগুলির বিভিন্ন দিক ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তাদের মতামত দিয়েছেন: খেলাধুলা ছাড়া জার্মানি ভালো নম্বর পেয়েছে ‘‘সৎ ও দক্ষ সরকার'' বিভাগে৷ ‘‘বিনিয়োগের পরিবেশ'' এবং ‘‘সামাজিক সাম্য'' বিভাগে জার্মানি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে৷ সমকালীন সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র পূর্বাপর প্রথম স্থানে, যদিও ‘‘বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য উদ্যম'' বিভাগে যুক্তরাষ্ট্রের নম্বর কমেছে৷
যোগাযোগ উপদেষ্টা সাইমন আনহোল্ট এবং জিএফকে মার্কেটিং রিসার্চ ও কনসাল্টিং কোম্পানি এই জরিপের আয়োজন করেন৷ তাদের সৃষ্ট ‘ইনডেক্স' বা সূচিতে বিভিন্ন দেশকে ছ'টি গুণগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পরিমাপ করা হয়েছে, যেমন মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিমাপ করা সম্ভব৷ এ ক্ষেত্রে সে দেশের শিল্পসংস্থা ও পণ্যের মূল্যায়ন থেকে শুরু করে পর্যটকের চোখে সে দেশের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য ও তার খেলাধুলার রেকর্ড, সব কিছুই স্থান পেয়েছে৷ সেই সঙ্গে রয়েছে সরকারের কর্মক্ষমতা, অভিবাসন ও বিনিয়োগের দৃষ্টিকোণ থেকে দেশটির উপযোগিতা এবং বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে দেশটির ভূমিকা৷
এবার যে ২০ হাজার ১২৫ জন উত্তরদাতার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, সেগুলি নেওয়া হয় গত জুলাই মাসে, অর্থাৎ জার্মানির ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের ঠিক পরে৷ স্বভাবতই তার একটা ইতিবাচক প্রভাব ফলাফলে পরিলক্ষণ করা যাচ্ছে৷ তবে এই এনবিআইএসএম টেস্টে জার্মানি ২০১৩ সালেও যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় স্থানে ছিল৷ সাইমন আনহোল্ট-এর মতে বিশ্বকাপ জয় ছাড়াও জার্মানি ‘‘ইউরোপে তার নেতৃস্থানীয় ভূমিকা, তার শক্তিশালী অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার একটানা দায়িত্ব পালনের'' জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে৷
নয়তো প্রথম দশটি স্থানে এবার রয়েছে জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ক্যানাডা, জাপান, ইটালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও সুইডেন৷ রাশিয়া ইউক্রেন সংকটের চাপে তিন ধাপ নেমে গেছে: ২০১৩ সালের ২২তম স্থান থেকে ২০১৪ সালে ২৫তম স্থানে৷
এসি/এসবি (ডিপিএ, এএফপি)