বিশ্বের ৮৫ ভাগ জাহাজের মৃত্যু হয় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে
আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘এনজিও শিপব্রেকিং প্ল্যাটফর্মের’ নতুন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পৃথিবীতে যত টন জাহাজ ভাঙা হয় তার ৮৫ ভাগের নিয়তি দক্ষিণ এশিয়ার উপকূল৷ এগুলোর ক্ষতিকর বর্জ্য পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর৷
২০২৩ সালের প্রতিবেদন
এনজিও শিপব্রেজিং প্ল্যাটফর্মের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে মোট ৪৪৬টি সমুদ্রগামী কমার্শিয়াল জাহাজ ভাঙা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৩২৫টিই ভাঙ্গা হয়েছে বাংলাদেশের সীতাকুণ্ড, ভারতের আলাং ও পাকিস্তানের গাদ্দানির শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোতে৷
সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে
২০২৩ সালে বাংলাদেশে ১৭০টি জাহাজ ভেঙেছে বড় শিপিং কোম্পানিগুলো৷ এরপরই রয়েছে ভারত৷ সেখানে ১৪০টি জাহাজ ভাঙা হয়েছে, আর পাকিস্তানে ভাঙ্গা হয়েছে ১৫টি৷
পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপ থেকে
বেশিরভাগ জাহাজ দক্ষিণ এশিয়ায় এসেছে পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপ থেকে৷ এসব দেশে ক্ষতিকর বর্জ্য দূ্ষণের বিরুদ্ধে কড়া নিয়ম থাকলেও সমালোচনা আছে, তারা সেই বর্জ্যই দক্ষিণ এশিয়ায় পাঠাতে পিছপা হয় না৷
চীন থেকে বেশি
২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি জাহাজ এসেছে চীন থেকে৷ তারা ৭১টি জাহাজ দক্ষিণ এশিয়ায় পাঠিয়েছে, যার ৫৯টিই এসেছে বাংলাদেশে৷ এছাড়া হংকং, আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, গ্রিস, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াও দক্ষিণ এশিয়ায় জাহাজ ভাঙার তালিকায় ওপরের দিকে আছে৷
সুইস জায়ান্ট কোম্পানি এমএসসি
দক্ষিণ এশিয়ায় বাতিল জাহাজ পাঠানোর ক্ষেত্রে সুইস কনটেইনার জাহাজ কোম্পানি মেডিটারেনিয়ান শিপিং কোম্পানি বা এমএসসির দুর্নাম রয়েছে৷ প্রচুর সমালোচনার পরও তারা গত এক দশকে একশ’রও বেশি জাহাজ ভেঙেছে এখানে৷ ভারতের আলাংয়ে ২০২৩ সালে তারা ১৪টি জাহাজ ভেঙেছে৷
ঝুঁকিপূর্ণ কাজ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূলে জাহাজ ভাঙার সময় অন্তত ৬ জন শ্রমিক মারা গেছেন৷ আরো ১৯ জন আহত হয়েছেন৷
কেমন ক্ষতিকর বর্জ্য
এসব জাহাজে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী অ্যাসবেস্টস, ভারি ধাতু, বিষাক্ত তেলসহ নানা ক্ষতিকর পদার্থ থাকে, যা ঝুঁকিপূর্ণ দক্ষিণ এশীয় ইয়ার্ডগুলোতে জাহাজ ভাঙার সময় মাটি ও পানিতে মিশে যায়৷