1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজসুইজারল্যান্ড

বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দশ কোটির বেশি

২৩ মে ২০২২

সংঘাত, সহিংসতা এবং নিপীড়ন থেকে বাঁচতে গোটা বিশ্বে ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি অতিক্রম করেছে, যা এক নতুন রেকর্ড৷ ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এত বেড়েছে বলে মনে করছে ইউএনএইচসিআর৷

https://p.dw.com/p/4Bjrk
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরছবি: Beata Zawrzel/NurPhoto/picture alliance

‘‘এটা এমন এক রেকর্ড যা কখনো না হলেই ভালো হতো,'' বলেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি৷

‘‘নতুন এই সংখ্যা বিধ্বংসী সংঘাত সমাধানে ও রোধে, নিপীড়ন বন্ধে এবং মানুষ কেন ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তা শনাক্ত করে সমাধান খুঁজতে আমাদের কাছে এক সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করা উচিত,'' যোগ করেন তিনি৷

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে যে, ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া মানুষের সংখ্যা ২০২১ সালের শেষ নাগাদ নয় কোটির মতো ছিল৷ ইথিওপিয়া, বুরকিনা ফাসো, মিয়ানমার, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান এবং কঙ্গোতে সংঘাতের কারণে মূলত সংখ্যাটি বাড়ছিল৷

তবে চলতি বছর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা তরতরিয়ে বাড়তে শুরু করে৷ দেশটি থেকে ইতোমধ্যে ৬০ লাখের মতো মানুষ জীবন বাঁচাতে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন৷ আর ৪০ লাখ ইউক্রেনের ভেতরেই এক অঞ্চল ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন৷

দশ কোটির বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার অর্থ হচ্ছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক শতাংশের বেশি মানুষ আর নিজের ঘরে থাকতে পারছেন না৷ এই সংখ্যার মধ্যে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী এবং নিজের দেশেই ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়া পাঁচ কোটির মতো মানুষও রয়েছেন৷

গ্রান্ডি বলেন, ‘‘ইউক্রেন থেকে পালাতে বাধ্য হওয়া মানুষের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সাড়া অত্যন্ত ইতিবাচক৷ সহানুভূতি বেঁচে আছে এবং আমাদের সেটা বিশ্বের অন্যান্য সংকটেরক্ষেত্রেও প্রকাশ করা উচিত৷ তবে দিনের শেষে মানবিক সহায়তা একটি উপশমক, নিরাময়ক নয়৷''

‘‘বাস্তুচ্যুত মানুষ বেড়ে যাওয়ার এই ধারা কমাতে শান্তি এবং স্থিতি নিশ্চিত করতে হবে যাতে নিরাপরাধ মানুষ ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য না হয়,'' যোগ করেন তিনি৷

গতবছর ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া মানুষদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য ১৬ জুন বাৎসরিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করবে ইউএনএইচসিআর৷

এআই/এসিবি (এপি, এএফপি)