1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিহারেও নয় এনআরসি

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২০ ডিসেম্বর ২০১৯

পশ্চিমবঙ্গের আরেক প্রতিবেশী রাজ্য বিহারেও চালু হবে না এনআরসি, বললেন মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপির এনডিএ জোটের শরিক নীতীশ কুমার৷

https://p.dw.com/p/3VAKY
Indien Proteste gegen Staatsbürgerschaftsgesetz
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar

এদিকে এনআরসি, সিএএ নিয়ে জাতিসঙ্ঘের ব্যবস্থাপনায় গণভোটের দাবি তুলে, পরদিনই পিছিয়ে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ শুক্রবার কলকাতায় দলের সদর কার্যালয় তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, বিতর্কিত আইন দুটি নিয়ে জনমত যাচাইয়ের কথা বলেছিলাম৷ ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের দিয়েই, দেশীয় তদারকিতে৷ এদিন কেন্দ্র সরকার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও কিছুটা সুর নরম করেছেন মমতা৷ মোদীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘‘দেশ এবং মানুষের স্বার্থে এনআরসি, সিএএ প্রত্যাহার করুন৷ এটা হার-জিতের কোনো বিষয় নয়৷'' তিনি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত এতে হস্তক্ষেপ করা এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি প্রত্যাহার করা৷
উল্লেখ্য, জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে গণভোট করার মন্তব্যটির একসুরে বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস, বিজেপি এবং বামপন্থিরা৷ তারপরই মমতার এক পা পিছু হটা৷ এর মধ্যে তাঁকে উৎসাহিত করার মতো একটাই খবর এলো শুক্রবার, বিহার থেকে৷ বিজেপির এনডিএ জোটের শরিক হয়েও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ঘোষণা করলেন, তাঁর রাজ্যে এনআরসি হবে না, যদিও তাঁর দল জেডিইউ সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে রায় দিয়েছিল৷ কিন্তু আগের দিনই নীতিশ বিহারের সংখ্যালঘু মুসলিমদের আশ্বস্ত করেছিলেন, তাঁদের বাস্তুচ্যুত হতে হবে না৷
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, এবং হালে ওড়িশা, বিহারের মতো যেসব রাজ্য এনআরসি চালু করবে না বলছে, বা সিএএ-র বিরোধিতা করছে, তারা কি আইনত বাধ্য সংসদে অনুমোদিত কোনো কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর করতে?‌ আপাতদৃষ্টিতে তাই৷ কিন্তু অন্য আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টা দেখছেন আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষ৷ তাঁর বক্তব্য, নির্দিষ্ট কোনো আইনের কারণে যাঁদের উপকৃত হওয়ার কথা, এক্ষেত্রে হিন্দু শরণার্থীরা, আইনটি চালু না হলে যদি তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, তাহলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন৷ কিন্তু অন্য কোনো সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়া হলো, বা হলো না কেন, এ নিয়ে মামলা হতে পারে না৷
আর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে অরুণাভ ঘোষের বক্তব্য, বিতর্কিত সংশোধনীটি ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী বলেই একের পর এক মামলা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে৷ এবার আদালত সিদ্ধান্ত নেবে৷ বস্তুত, ৫৯টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সিএএ-র বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে৷ ২২ জানুয়ারি সব কটি মামলার একসঙ্গে শুনানি হবে৷