ইউরোপে শরণার্থী সংকট
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫শরণার্থী সংকটের চাপের মুখে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বদলে ইউরোপ যেন আরও বিহ্বল হয়ে পড়ছে৷ দক্ষিণ থেকে উত্তরে শরণার্থীদের ঢল বন্ধ করতে বিভিন্ন দেশ নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে বা কড়া নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে এই সংকট থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করছে৷
অন্যদিকে শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও বিভাজন স্পষ্ট৷ চাপে পড়ে শরণার্থী সংকটের বিষয়ে আলোচনা করতে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে বটে, কিন্তু তার ফল নিয়েও সংশয় দূর হয়নি৷ এই অবস্থায় শরণার্থীদের দুর্দশার খবর অনেকটা চাপা পড়ে গেছে৷ কয়েক দিন আগেই মৃত সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির এক আত্মীয় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তাঁর পরিবার সহ সামগ্রিকভাবে শরণার্থীদের পরিস্থিতি তুলে ধরেন৷
অক্সফ্যাম ইন্টারন্যাশানাল এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছে, যে ছোট্ট দেশ লেবানন ইউরোপের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি শরণার্থী গ্রহণ করেছে৷
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল হাঙ্গেরি সীমান্তে শরণার্থীদের দুর্দশরা বর্ণনা দিয়েছে৷
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রথ সিরিয়ার পরিস্থিতির কথা আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন৷ ইইউ-র প্রতি তাঁর আবেদন, শরণার্থীদের যেন আরও বিপজ্জনক পথে ঠেলে না দেওয়া হয়৷
হাঙ্গেরি তার সীমান্ত প্রায় নিশ্ছিদ্র করে তোলার পর শরণার্থীদের সিংহভাগ সামলাতে হচ্ছে ক্রোয়েশিয়াকে৷
হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের জন্য চাপ বাড়ছে৷ এ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন জেন স্যামুয়েল্স৷
শরণার্থীদের বিষয়ে ফ্রান্সের অবস্থান ব্যাখ্যা করে লেখা একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন পাট্রিসিয়া রিনাল্ডি৷
ইউরোপে শরণার্থীদের অতীত ইতিহাসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আজ সিরীয় শরণার্থীদের কেন সাহায্য করা হবে না? এই প্রশ্ন তুলেছেন বুরহান ওয়াজির৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ