1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেইজিং অলিম্পিক: কূটনৈতিক বয়কট অ্যামেরিকার

৭ ডিসেম্বর ২০২১

বেইজিংয়ে উইন্টার অলিম্পিকে যাবেন না মার্কিন কূটনীতিকরা। জানিয়ে দিল অ্যামেরিকা।

https://p.dw.com/p/43uli
চীন
ছবি: Kyodo/dpa/picture alliance

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগেই আভাস দিয়ে রেখেছিলেন। সোমবার সরকারিভাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল অ্যামেরিকা। শীতকালীন অলিম্পিক বা উইন্টার অলিম্পিকে খেলোয়াড়রা গেলেও কোনো মার্কিন কূটনীতিক যাবেন না। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে চীনও।

সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রেস সেক্রেটারি বলেন, ''চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। গণহত্যা চলছে। অ্যামেরিকা তার বিরোধিতা করছে। প্রতিবাদস্বরূপ উইন্টার অলিম্পিকে চীনে কোনো মার্কিন কূটনীতিককে পাঠানো হবে না।''

তিনি জানিয়েছেন, খেলোয়াড়রা অলিম্পিকে অংশ নেবেন। দেশে বসেই তাদের জন্য সকলে গলা ফাটাবেন। কিন্তু চীনে কেউ যাবেন না। বস্তুত, কয়েক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেই এ কথা জানিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, চীনে মার্কিন কূটনীতিকদের পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বেজিং অলিম্পিক কূটনৈতিকভাবে বয়কট করা হতে পারে। তার সেই বক্তব্যের পর সোমবার সরকারিভাবে অ্যামেরিকা নিজেদের অবস্থান জানালো।

চীনের প্রতিক্রিয়া

চীন সরকারের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ''অ্যামেরিকার অবস্থান অভিসন্ধিমূলক। চীন মার্কিন কূটনীতিকদের আমন্ত্রণই জানায়নি। ফলে অ্যামেরিকা যা বলছে, তা অতিরঞ্জিত, মনগড়া।'' ওয়াশিংটনে চীন দূতাবাসের প্রধান বলেছেন, অ্যামেরিকার অবস্থান দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। অ্যামেরিকা চরম অবস্থান নিলে চীনও পাল্টা অবস্থান নিতে বাধ্য হবে।

কেন বয়কট

চীনে উইগুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এই অভিযোগ বহুদিনের। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামেরিকা দীর্ঘদিন ধরে চীনের সমালোচনা করে আসছে। বিষয়টির সঙ্গে তারা গণহত্যার তুলনাও টেনেছে। সোমবারও মার্কিন সচিব গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার করেছেন। কূটনৈতিক বয়কট সেই বিরোধিতারই চরম পরিণতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরো তলানিতে পৌঁছাবে বলেই মনে করছেন সকলে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স. এপি, এএফপি)