1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাড়ছে অস্ত্র ব্যবসা

৯ ডিসেম্বর ২০১৯

পৃথিবী জুড়ে বাড়ছে অস্ত্র ব্যবসা৷ সবার উপরে অ্যামেরিকা৷ পিছিয়ে নেই ইউরোপ এবং রাশিয়াও৷ এই হারে অস্ত্র তৈরি বাড়তে থাকলে, ভবিষ্যতে অশান্তির সম্ভাবনা বাড়বে বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের৷

https://p.dw.com/p/3URLF
ছবি: picture-alliance/AP Photo/U.S. Department of Defense/S. Apel

বিশিষ্টজন থেকে রাষ্ট্রনেতা, বিশ্ব জুড়ে শান্তির কথা বলছেন সকলেই৷ কিন্তু বাস্তবে কি তার কোনও প্রভাব পড়ছে? সম্প্রতি একটি সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে পৃথিবীময় অস্ত্র ব্যবসা বেড়েছে ৪.৬ শতাংশ৷ 

Libyen Symbolbild Regierungssoldat
ছবি: picture-alliance/Photoshot

স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা কেন্দ্র কিছু দিন আগে তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০০২ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে গোটা পৃথিবীতে অস্ত্র ব্যবসার পরিমাণ বেড়েছে ৪৭ শতাংশ৷ ২০১৮ সালে বিশ্বের প্রধান ১০০ টি অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা ৪২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছে৷ ২০১৭ সালের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি৷ শুধু তাই নয়, সংস্থাটি জানিয়েছে, তথ্য না পাওয়ার কারণে এই রিপোর্টে চীনের অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির উল্লেখ করা হয়নি৷ সেই সংখ্যাটি যোগ করলে শতাংশের হিসেব আরও অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি৷

রিপোর্টে বলা হয়েছে অস্ত্র ব্যবসা সব চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে অ্যামেরিকায়৷ সেখানে প্রথম পাঁচটি অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা গত এক বছরে সর্বাধিক ব্যবসা করেছে৷ ইউরোপের সংস্থাগুলির ব্যবসা গত বছরের তুলনায় বাড়েনি, বরং শতাংশের হিসেবে সামান্য কমেছে৷ রাশিয়ার সংস্থাগুলিরও ব্যবসা পড়েছে ০.৪ শতাংশ৷

তবে ইউরোপ এবং রাশিয়াকে বহু পিছনে ফেলে দিয়ে অ্যামেরিকার প্রথম ৫টি অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা গত এক বছরে ব্যবসা বাড়িয়েছে ৫.৮ শতাংশ৷ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর কারণ, ২০১৮ সালে মার্কিন সংস্থা সরকারকে বিপুল পরিমাণ এফ ৩৫ যুদ্ধ বিমান বিক্রি করেছে৷ সে কারণেই তাদের ব্যবসা এত বেশি৷

রিপোর্টটিতে আরও একটি জরুরি কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মার্কিন অস্ত্র ব্যবসায় মন্দা আসার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ কারণ, অ্যামেরিকা সামরিক ক্ষেত্রে রাশিয়া এবং চীনকে সব চেয়ে বড় প্রতিযোগী বলে মনে করে৷ ট্রাম্প সরকারের লক্ষ্যই হল সামরিক খাতে দেশকে আরও শক্তিশালী করে তোলা৷ ফলে মার্কিন সরকার অস্ত্র কেনা কমাবে না৷

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা হাজির হয়ে শান্তির কথা বলেন৷ অস্ত্র নয়, মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার কথা বলেন৷ কিন্তু তাঁদের কথায় এবং কাজে যে বিস্তর ফারাক, আন্তর্জাতিক শান্তি সংস্থাটির রিপোর্ট তা চোখে আঙুল দেখিয়ে দিল৷ তাঁদের রিপোর্টে যার উল্লেখ নেই, ভারতীয় উপমহাদেশের কোনও কোনও রিপোর্টে সে সত্যও এতদিনে স্পষ্ট হয়েছে৷ কেবল পশ্চিম দুনিয়া নয়, পাল্লা দিয়ে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে উপমহাদেশের দেশগুলি৷ গত কয়েক বছরে সামরিক খাতে তাদের বরাদ্দও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো৷ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এ ভাবে অস্ত্র ব্যবসা বাড়তে থাকলে ভবিষ্যতে আরও বড় অশান্তির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷

কার্স্টেন নিপ/এসজি