বোঝাপড়া সত্ত্বেও হংকংয়ে সংঘাত
৩ অক্টোবর ২০১৪সংঘাত একেবারে এড়ানো গেল না৷ শুক্রবার রাতের মধ্যে প্রধান প্রশাসক লং চুন ইং-এর পদত্যাগের দাবি করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা৷ তিনি সেই দাবি মেনে না নিলেও আপোশ হিসেবে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হয়ে যান৷ এই বোঝাপড়ার আওতায় মুখ্য সচিব ক্যারি ল্যাম ‘হংকং ফেডারেশন অফ স্টুডেন্টস'-এর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন৷ বিক্ষোভকারীরাও সরকারের কাছে তাঁদের দাবি সম্পর্কে স্পষ্ট জবাব চায়৷
২০১৭ সালের নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই নিয়েই দুই পক্ষের বিরোধ৷ গত আগস্ট মাসে বেইজিং তাঁদের অনুগত এক কমিটির মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের ব্যবস্থা করেছে৷ বিরোধীদের দাবি, মানুষকেই বিনা বাধায় প্রার্থীদের মনোনয়ন করতে দিতে হবে৷ চীন এই দাবি মেনে নেবে – এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ তবে আপোশ হিসেবে গোটা প্রক্রিয়ায় সামান্য কিছু রদবদলে রাজি হতে পারে বেইজিং সরকার৷
এর মধ্যে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরোধী আর এক দল জনতার আবির্ভাবের ফলে৷ শহরের দুটি এলাকায় এই ‘অ্যান্টি ডেমনস্ট্রেটর'-দের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে৷ অতএব, পুলিশকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে৷
বিক্ষোভকারীরা মং কক এলাকা অবরোধ করে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জনতা৷ তাদের দাবি, ‘‘মং কক এলাকা ফিরিয়ে দাও৷ হংকংয়ের বাসিন্দাদের খেতে হবে৷'' বিক্ষোভকারীদের একাংশ অবশ্য মনে করছে, পুরোটাই সাজানো ঘটনা৷ তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছে না, তাদের অর্থ দিয়ে এ কাজ করতে বলা হয়েছে৷ তবে দুই দিনের সরকারি ছুটির পর কাজে ফিরে অনেকের মনেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে৷ বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা চলমান অস্থিরতার ফলে ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কা করছেন৷ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে একজন বলেন, শুরুতে অনেকেই বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেখিয়েছিল৷ কিন্তু তারপর তাঁরা বাড়াবাড়ি শুরু করায় সমর্থন কমে আসছে৷
এসবি / এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)