‘ব্রেক্সিট' ইস্যুতে ব্রিটেন-ইইউ
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের ‘এক্সিট', অর্থাৎ ব্রিটেন ইইউ বেরিয়ে যাবে, নাকি থাকবে – এ নিয়েই চাপানউতোর চলছে গত কয়েক বছর ধরে৷ ইইউ-তে ব্রিটেনের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে দেখা দেয়া এই জটিলতার নাম হয়ে গেছে ‘ব্রেক্সিট'৷ অবশেষে এ ইস্যুতে ব্রিটেন এবং ইইউ-র অবস্থান অনেক স্পষ্ট হয়েছে, একই জোটের ভেতরে গড়ে ওঠা দূরত্বও ঘুচে যাওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে৷
ইইউ প্রধান জঁ ক্লদ ইয়ুংকার বলেছেন, ‘‘ব্রিটেন যে প্রস্তাব দিয়েছে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি ২৭ সদস্য দেশের জন্যও ভালো৷ প্রস্তাবগুলো ইউরোপীয় সংসদের জন্যও ভালো৷''
এর আগে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি ডোনাল্ড টুস্কের সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় জোটে থাকার শর্ত হিসেবে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন ডেভিড ক্যামেরন৷ ইইউ অভিবাসীদের কল্যাণ ভাতা মাত্রা নির্ধারণের বিষয়টিও ছিল সেখানে৷ ইইউ ‘ইমার্জেন্সি ব্রেক', অর্থাৎ জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে এমন নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনায় ব্রিটেনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে৷
বুধবার ইইউ প্রধান ইয়ুংকার জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডোনাল্ড টুস্ক ব্রিটেনের পক্ষ থেকে তোলা দাবিগুলো নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি সদস্য দেশের নির্বাহীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷ সদস্য দেশগুলো তাতে সম্মতি দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কিনা – এ নিয়ে সে দেশে গণভোট হবে৷ ২০১৭ সালের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় গণভোটের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিজের অবস্থান সুস্পষ্ট ও সুদৃঢ় করতে চায় ব্রিটেন৷ এ মুহূর্তে ব্রিটিশ ভোটারদের বড় একটি অংশ মনে করে, ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা উচিত নয়৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)