1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত অভিজিৎ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ব্লগার অভিজিত্‍ রায়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷ হামলায় তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হয়েছেন৷ অভিজিত্‍ মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অজয় রায়ের ছেলে৷

https://p.dw.com/p/1EiPi
Screenshot Facebook Profil Avijit Roy

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি মোড়ে অভিজিত্‍ রায় (৩৮) এবং তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদকে (৩০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা৷ এরপর তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখানে চিকিত্‍সাধীন অবস্থায় রাত ১০টা ২০ মিনিটে অভিজিত্‍ রায় মারা যান৷

জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিত্‍সক একেএম রিয়াজ মোর্শেদ জানান, অভিজিতের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে৷ তিনি ব্যাপক রক্তক্ষরণের কারণে চিকিত্‍সাধীন অবস্থায় মারা যান৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামানসহ কয়েকজন আহত অভিজিত্‍ রায় এবং তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করে তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে যান৷ সেখানে ভর্তি হওয়ার পর রাফিদা জানান যে, তাঁরা এক সপ্তাহ আগে অ্যামেরিকা থেকে ঢাকায় বেড়াতে এসে এক আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন৷ বৃহস্পতিবার বইমেলায় ঘোরা শেষে রাত ৯টার দিকে টিএসসিতে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়, যাতে তাঁরা গুরুতর জখম হন৷

তবে কে বা কারা কী কারণে এ হামলা চালিয়েছে, তা কিছুই তিনি জানাতে পারেননি ব্লগার অভিজিত্‍ রায়ের স্ত্রী রাফিদা৷

ঘটনার পরপরই অধ্যাপক অজয় রায় হাসপাতালে ছুটে যান৷ তিনি বলেন, ‘‘কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমি নিশ্চিত নই৷''

ঢাকা মেডিক্যালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী বলেন, ‘‘অভিজিত্‍ রায় বিদেশে থাকা অবস্থায় মুক্তমনা নামে একটি ব্লগে লেখালেখি করতেন৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি৷''

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অহিদুজ্জমানান জানান, হামলার কোনো কারণ জানা যায়নি এবং জড়িতদেরও চিহ্নিত করা যায়নি৷ পুলিশ অবশ্য হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য