বইমেলায় বাড়তি নিরাপত্তা
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬গতবছর বইমেলার শেষ দিকে হত্যা করা হয় বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে৷ এরপর ৩১ অক্টোবর হত্যা করা হয় প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে৷ একইদিনে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় আরেক প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুলকে৷ এছাড়া পুরো বছর জুড়েই ব্লগার ও সৃজনশীল প্রকাশক, লেখকদের ওপর জঙ্গিদের হুমকি অব্যাহত ছিল৷ বই প্রকাশ না করতে হুমকি দেয়া হয় সময় প্রকাশন-এর ফরিদ কবীরকে৷
এ কারণেই এবার বইমেলায় ব্লগার, লেখক ও প্রকাশকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷
বইমেলা শুরুর একদিন আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অতীত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে বইমেলায় এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ধরনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে৷ নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে যদি কোনো বিশিষ্ট নাগরিক, লেখক, প্রকাশক, ব্লগার বা বইমেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ মনে করেন তাহলে তাৎক্ষণিক পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সহযোগিতা চাইতে পারেন৷ আমরা তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব৷’’
মেলায় এরইমধ্যে সিসিটিভি মনিটরিং, সুইপিং, ওয়াচ টাওয়ার, সাদা পোশাকে মেলার ভেতরে ও বাইরে টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত হকারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে৷
পুলিশ জানায়, মেলা চলাকালে সন্ধ্যার পর কাউকে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে থাকতে দেয়া হবে না৷ বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যেই দশনার্থীদের সোহরাওয়ার্দি উদ্যান ছাড়তে বলা হয়েছে৷
শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর, টিএসসি, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ পুরো বইমেলা চত্বর দুই শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা মনিটর করা হচ্ছে৷ মেলায় প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে গেট বসানো হয়েছে৷ সবাইকে এই তল্লাশির মধ্য দিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে হচ্ছে৷
এ প্রসঙ্গে কবি ও প্রকাশক সুশান্ত কুমার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট৷ কর্তৃপক্ষ তাদের সাধ্য অনুযায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে৷''
তিনি জানান, ‘‘মেলায় দৃশ্যমান নিরাপত্তার বাইরেও অদৃশ্য নিরাপত্তা রয়েছে৷ আমরা গত এক বছরে লেখক এবং ব্লগারদের হারিয়েছি৷ এবার আশা করছি সেই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না৷''
বন্ধু, আপনি কি এবারের একুশে বইমেলায় গেছেন? নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন দেখলেন সেখানে? জানান আমাদের, নীচের ঘরে৷