1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্লাড ডোপিং-এর অভিযোগ নিয়ে তদন্ত

৩১ জানুয়ারি ২০১২

জার্মানির ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি - নাডা ৩০ জন জার্মান ক্রীড়াবিদদের ব্যাপারে তদন্ত করছে৷ এরা নিষিদ্ধ ব্লাড ট্রান্সফিউশন পদ্ধতি থেকে লাভবান হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/13thk
জার্মানির ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি - নাডাছবি: picture-alliance/dpa

এই ডোপিং কেলেংকারির সূত্রে যার নাম উঠে এসেছে শীর্ষে, তিনি স্পোর্টস বিষয়ক চিকিৎসক আন্দ্রেয়াস ফ্রাংকে৷ জার্মানির পূর্বাঞ্চলের এয়ারফ্যুর্ট শহরের এই ডাক্তারই নিষিদ্ধ পদ্ধতি ক্রীড়াবিদদের উপর প্রয়োগ করেন বলে বলা হচ্ছে৷

এই পদ্ধতির আওতায় সংশ্লিষ্ট ক্রীড়াবিদের দেহ থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করে নেয়া হয়৷ তারপর সেই রক্তের উপর আল্ট্রাভায়োলেট রে প্রয়োগ করা হয় রক্তে সংক্রামণ প্রতিরোধ করার জন্য৷ পরে সেই রক্ত আবার দেহে ঢুকিয়ে দেয়া হয়৷

জার্মানির ৩০ জন ক্রীড়াবিদের ব্যাপারে তদন্ত করছে ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি - নাডা৷ তারা জানিয়েছে, যদি এসব খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ তালিকায় রয়েছে বিখ্যাত সব ক্রীড়াবিদদের নাম৷

নাডার চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া গটসমান জানান,‘‘অবশ্যই আমরা পুরো বিষয়টি অনুসন্ধান করবো৷ প্রতিটি খেলোয়াড়ের ওপর নজর রাখবো৷ কেউ কোন ধরণের নিষিদ্ধ ওষুধপত্র বা স্টেরয়েড গ্রহণ করছে কিনা তা বের করবো৷ প্রতিটি খেলোয়াড় – অলিম্পিকে সোনা বিজয়ী থেকে শুরু করে জুনিয়র এ্যাথলেট পর্যন্ত - কেউই বাদ থাকবে না৷''

যে সব শীর্ষ খেলোয়াড়দের নাম তালিকায় রয়েছে তাদের মধ্যে স্পিড স্কেটার ইয়ুডিথ হেসে, সাইক্লিস্ট ইয়াকব স্টাইগমিলার রয়েছেন৷ তারা ইতিমধ্যেই জার্মান ইন্সটিটিউশন অফ আরবিট্রেশনে গেছেন, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷

তবে চিকিৎসক আন্দ্রেয়াস ফ্রাঙ্কে জানান, তিনি খেলোয়াড়দের যেভাবে সাহায্য করছেন তা কোন অবস্থাতেই অনৈতিক নয়৷ তিনি আলট্রা-ভায়োলেট রশ্মি প্রয়োগ করেছেন রক্তে যাতে করে কোন ধরণের ইনফেকশ না হয়৷ সাবেক অলিম্পিক স্পিড স্কেটিং চ্যাম্পিয়ন ক্লাউডিয়া পেখস্টাইন, ৮০০ মিটার দৌড়ে সাবেক চ্যাম্পিয়ন নিল্স শুমান-এর নামও তালিকায় আছে৷

সোমবার এক বিবৃতিতে ফ্রাঙ্কে জানান, তাঁর প্রয়োগ করা পদ্ধতি ব্লাড ডোপিং-এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং ২০০৭ সালেই নাডাকে তা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে৷ তিনি আরো জানান, এর ফলে একজন খেলোয়াড়ের পারফরমেন্স খুব ভাল হবে সেকরম কোন ঘটনা ঘটেনি এবং ঘটবেও না৷ শরীরকে বিভিন্ন ধরণের সংক্রামণ থেকে রক্ষা করাই এই পদ্ধততির লক্ষ্য৷

নাডার চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া গটসমান আরো বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আরো তথ্য আমরা সংগ্রহ করতে সক্ষম হবো৷ যদি তা অনৈতিক এবং ডোপিং বলে প্রমাণিত হয় তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব কোন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য