ভবিষ্যতের খাবার কী হবে?
খাবার কেমন করে বদলেছে? কিংবা বদলে যেতে পারে আগামীতে? ছবিঘরে থাকছে সে কথা৷
চিনি বাদ
কোন ভোগ্যপণ্য বাতিলের প্রথম আন্দোলন হয় কবে জানেন? ১৭৯১ সালে৷ ‘দ্য সুগার বয়কট’ ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম কোন ভোগ্য পণ্য বাতিলের আন্দোলন৷ কারণ চিনির সঙ্গে ব্রিটিশ দাস প্রথার সংযোগ ছিল৷ সে যাই হোক চিনি বাদ হয়নি৷ বরং নানা খাদ্যে মিশে আছে এখনো৷ তবে ভবিষ্যতেও হয়ত স্বাস্থ্যের কথা বিচার করে চিনি বাদ দেবার ডাক আসতে পারে৷
সয়া সসেজের আবিষ্কার
যতই দিন গড়াচ্ছে নিরামিষ খাওয়া লোকের সংখ্যা বাড়ছে৷ তাই মাংসের বিকল্প হিসেবে নতুন নতুন খাবার যুক্ত হচ্ছে৷ কিন্তু এটা নতুন কিছু নয়৷ এমনকি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর কনরাড আডেনাওয়ার (তৎকালীন খাদ্য সরবরাহ বিভাগের পরিচালক) প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সয়া সসেজ আবিষ্কার করেন৷ বলা হয়ে থাকে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার৷
গ্রিনহাউজ টাওয়ার
১৯৬৪ সালে অস্ট্রিয়ান প্রকৌশলী ওথমার রুথনার ভিয়েনায় একটি প্রদর্শনীতে তার ‘টাওয়ার গ্রিনহাউজ’-এর আইডিয়া দেখান৷ ৪১ মিটার উঁচু কাঁচে ঘেরা তার গ্রিনহাউজে ফুল ও সবজির চাষ সম্ভব৷ এতে সেচ ও সারের ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়৷ পুরো বিশ্ব চমকে যায়৷ তাকেই ‘ভার্টিকাল ফার্মিং’-এর জনক মনে করা হয়৷
সস্তা মুরগির আমদানি
যখন থেকে ইউরোপ ও মার্কিন খামারিরা সস্তায় আফ্রিকায় প্যাকেট করা মুরগির মাংস রপ্তানি শুরু করে, আফ্রিকার দেশ গানার পোলট্রি খামারিরা বিপদে পড়ে যান৷ স্থানীয় খামারিরা এখন মাত্র ৫% মুরগি বাজারে সরবরাহ করেন৷ তাই সেখানে দেশি মুরগি বিক্রি বাড়াতে এখন একটি ক্যাম্পেইন চালু রয়েছে৷
স্বচ্ছতা দরকার
মাংসের পাইকারি উৎপাদনের কারণে ভোক্তারা এখন বেশি ঝুঁকছেন প্রাকৃতিক বা ‘অরগ্যানিক’ খাবারে৷ অনেকেই এর প্রচারণাও চালাচ্ছে৷ যেমন ব্লক বার্ড নামের একটি কোম্পানির স্লোগান হল, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে স্বচ্ছ মুরগির মাংস’৷ অর্থাৎ তারা ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো থেকে শুরু করে দোকানে বিক্রির জন্য মুরগির মাংস পাঠানো পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ রেখেছে৷
পানিতে খামার
পানিতেও খামার হচ্ছে আজকাল৷ যেমন নেদারল্যান্ডসের এই খামারটি ভাসমান৷ এতে জমিও বাঁচে৷ আবার এই খামারের গরুর দুধও সহজে পৌঁছে যায় ভোক্তাদের কাছে৷
ছয় পায়ের নাশতা
পোকামাকড়ও কিন্তু এখন নাশতার টেবিলে দেদারসে চলছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২০১৮ সাল থেকে এসব পোকা খাওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷
চামচে স্বাদ
দক্ষিণ কোরীয় ডিজাইনার জিনহিউন জিয়নের চামচ খাবারের স্বাদ বাড়ায়৷ তিনি এর আকার, রং ও আরো কিছু বিষয় বদলে দেন যা মস্তিষ্কে এক রকমের অনুভূতিকে নাড়া দেয়, যার সঙ্গে স্বাদ যুক্ত৷