1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভাগনার সেনাদের আরো অস্ত্র: মস্কো

৮ মে ২০২৩

সম্প্রতি মস্কোর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন ভাগনার সেনার প্রধান। তারপরেই মস্কো এই ঘোষণা দিয়েছে।

https://p.dw.com/p/4R1Ko
ইউক্রেন
ছবি: Libkos/AP Photo/picture alliance

রাশিয়ার অসরকারি সেনা ভাগনার আর্মির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রোববার জানিয়েছেন, মস্কো তাদের আরো অস্ত্র এবং গোলাবারুদ দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে। বস্তুত, গত বেশ কয়েকমাস ধরে বাখমুতে প্রবল লড়াই চলছে ভাগনার সেনার সঙ্গে ইউক্রেনের সেনার। সেখানে বহু ভাগনার সেনা নিহত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই ভাগনার সেনার প্রধান জানাচ্ছিলেন, তাদের গোলাবারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার সেনা তাদের গোলাবারুদ না দিলে সেনা বাখমুত থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।

গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছিলেন ইয়েভজিন। তিনি বলেছিলেন, রাশিয়া বাখমুতে তাদের উপর নির্ভর করে আছে। কিন্তু তাদের কোনোরকম সাহায্য করছে না। যার ফলে গোলাবারুদের অভাবে তার সেনা সদস্যদের মৃত্যু হচ্ছে। বাখমুত থেকে সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। আগামী ১০ মে সেনা ফেরানো হবে বলে জানান তিনি। তারপরেই দ্রুত নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে মস্কো। প্রশাসন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভাগনার সেনাকে সবরকম সাহায্য করা হবে। তাদের গোলাবারুদ এবং অস্ত্র সরবরাহ করা হবে।

গত কয়েকমাসের মধ্যে বাখমুতই ইউক্রেনের একমাত্র জায়গা রাশিয়া যা দখল করতে পেরেছে। তবে বাখমুত পুনরুদ্ধারের জন্য তীব্র লড়াই করছে ইউক্রেনের সেনা। ফলে গত বেশ কয়েকমাস বাখমুত কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছে। যুদ্ধের শুরুতে পূর্ব ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি জায়গা রাশিয়ার সেনা দখল করেছিল। কিন্তু ইউক্রেন তার বেশ কয়েকটি পুনরুদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে। বাখমুত ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই তরফই স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট বা কৌশলগত অঞ্চল বলে মনে করে। ফলে কোনো দেশই বাখমুত ছাড়তে চাইছে না। এবং সে কারণেই যুদ্ধে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অসরকারি ভাগনার সেনাকে ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ক্রাইমিয়ায় রাশিয়া সমর্থিত প্রশাসন জানিয়েছে, ইউক্রেন তাদের সেভাসটোপল অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনো কথা বলা হয়নি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ফের ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন, ইউক্রেন-জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়া একটি সন্ত্রাসী দেশ। কিয়েভেও এখনো বিমান হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন জেলেনস্কি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)