পোশাক খাত
২৫ মার্চ ২০১২শিল্প মালিকদের দাবি দু'দেশের সরকারী পর্যায়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই অচল অবস্থার অবসান প্রয়োজন৷ নয়তো বিকল্প পথে যেতে হবে শিল্প মালিকদের৷
কোনরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ৪ মার্চ থেকে ভারত সরকারের নির্দেশে সেদেশ থেকে বাংলাদেশে তুলা রফতানি বন্ধ আছে৷ আর এই তুলার উপর বাংলাদেশের স্পিনিং মিল এবং তৈরি পোশাক শিল্প নির্ভরশীল৷ দেন দরবার করে পাইপ লাইনে থাকা তুলা আনা গেলেও নতুন তুলা ভারত থেকে আমাদানি করা যাচ্ছেনা৷ অথচ এবার ভারতে তুলা উৎপাদন আগের বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশ কটন এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আইউব৷
তিনি জানান বাংলাদেশে প্রতিবছর তুলার চাহিদা চার মিলিয়ন বেল৷ আর এর প্রায় ৪০ ভাগই আসে ভারত থেকে৷ এর কারণ পরিবহন খরচ কম পড়ে এবং ভারতের তুলার দাম কিছুটা কম৷ ফলে ভারতের তুলার ওপর নির্ভরতা গড়ে উঠেছে৷ তাই হঠাৎ করে ভারত থেকে তুলা রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের কটন এবং তৈরি পোশাক শিল্প৷
তিনি বলেন ভারত থেকে বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তারা তুলা আমদানি করে বেসরকারী পর্যায়ে৷ এখন এই পরিস্থিতিতে সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজন৷ তিনি বলেন বাংলাদেশ সরকার যদি ভারতের সঙ্গে আলাপ করে তুলার জন্য একটি কোটা নির্ধারণ করতে পারে তাহলে সবচেয়ে ভাল হয়৷
এক বছর আগেও ভারত এভাবে হঠাৎ করেই বাংলাদেশে তুলা রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল৷ তখনও বাংলাদেশের কটন এবং তৈরি পোশাক শিল্প ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে৷ মোহাম্মদ আইউব জানান, ভারত যদি শেষ পর্যন্ত তুলা না দেয় তাহলে বিকল্প উৎস অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, ব্রাজিল, আমেরিকা বা পাকিস্তান থেকে তুলা আমদানি করতে হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক