1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের সঙ্গে সেতুবন্ধনে জার্মানির স্টুটগার্ট শহর

১৬ জানুয়ারি ২০১২

ভারতে জার্মান বর্ষ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে জার্মানির স্টুটগার্ট শহরের মেয়রের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল আজ নতুন দিল্লিতে বক্তব্য রাখেন৷

https://p.dw.com/p/13kMz
স্টুটগার্টের মেয়র ড. ভল্ফগাঙ শ্যুস্টারছবি: DW / Evan Romero-Castillo

পাঞ্জাব-হরিয়ানা বাণিজ্য সঙ্ঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নগরায়ণের নতুন ধ্যানধারণার বাস্তবায়নে তিনি জার্মান সহযোগিতা নিয়ে মত বিনিময় করেন৷

পাঞ্জাব-হরিয়ানা বাণিজ্য সঙ্ঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আধুনিক নগরায়নের নতুন ধ্যানধারণা এবং তার বাস্তবায়নে জার্মানি কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে তা নিয়ে নতুন দিল্লি সফররত স্টুটগার্ট শহরের মেয়র ড. ভল্ফগাঙ শ্যুস্টার তাঁর বক্তব্যে জোর দেন পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তির মাধ্যমে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নেটওয়ার্ক ইকনমি অর্থাৎ বিভিন্ন কোম্পানির তথ্য উপাত্ত ও দক্ষতা দেখে ঠিক করা বাণিজ্যিক পার্টনারশিপ কোন কোম্পানি সবথেকে উপযুক্ত৷

তিনি বলেন, স্টুটগার্ট শহরে ভারতকে তুলে ধরা হচ্ছে তিন দিক থেকে৷ আগামী জুলাই মাসে বলিউড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ভারতীয় বাণিজ্য কেন্দ্র স্থাপন এবং বিভিন্ন শহরের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্ক৷

ভারতে চলতি জার্মান বর্ষের মূল থিম দ্রুত নগরায়ন ও তার চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পাঞ্জাবও হরিয়ানা বাণিজ্য সঙ্ঘের সভাপতি সন্দীপ সোমানির বলেন, চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে মূল শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন,কর্মসংস্থান,সামাজিক নিরাপত্তা যাতে সেখানকার মানুষজন একটা সুন্দর জীবনে থিতু হতে পারে৷

ছোট ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে ভারত ও জার্মানির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ প্রযুক্তি মূলধন ও দক্ষ বৃত্তিমূলক শিক্ষা৷ জার্মানি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে অগ্রণী দেশ হিসেবে ভারতকে সাহায্য করতে পারে, বলেন সোমানি৷

ভারতে অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত কোর্ড মেয়ার ক্লড মনে করেন, বর্তমান শতাব্দীর বড় চ্যালেঞ্জ শহরাঞ্চলের পরিসর, অবকাঠামো,পরিবহন,স্বাস্থ্য পরিষেবা এনার্জি, শিক্ষা৷ এইসব সমস্যা শহরাঞ্চলের দ্রুত বর্ধমান মধ্যবিত্ত তরুণ প্রজন্মের ওপর বেশি পড়ে যার পরিণামে তাঁরা বিদেশমুখি হতে চায়৷

জার্মান দূতাবাসের আর্থিক ও বাণিজ্য বিভাগের প্রধান মরিৎস লুম্মা বললেন, ভারতে জার্মান কোম্পানিগুলির লক্ষ দীর্ঘমেয়াদী৷ তারা স্রেফ পণ্য বিক্রির ভেন্ডার নয়৷ তারা বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে, প্রযুক্তি হস্তান্তর করছে৷ বশ,ডাইমলার বেন্সসহ প্রায় ১২০০ জার্মান কোম্পানি বর্তমানে ভারতে কাজ করছে৷ তবে এদের বেশিরভাগ ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য