ভারতে স্থলমাইন বিস্ফোরণে দুর্ঘটনায় যাত্রি ট্রেন
২০ নভেম্বর ২০০৯রেল নিরাপত্তার দায় রাজ্যসরকারের ওপর চাপিয়েছেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷
ঝাড়খন্ডে মাওবাদীদের ডাকা ২৪ ঘন্টার হরতাল৷ পুলিশের উচ্চ সতর্কতা৷ তার মধ্যেই শুক্রবার সকালে ঝাড়খন্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার মনোহরপুর-পোয়েটারের মধ্যে রেললাইনে স্থলমাইন বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা৷ টাটা-বিলাসপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ৮টি বগি ভেঙ্গেচুরে যায়৷ ইঞ্জিনসহ ৫টি বগি বেলাইন আর তিনটি বগি একেবারে উল্টে যায়৷ রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়েছে৷ লাইন পরিষ্কারের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ৷ ঐ দুর্ঘটনায় নিহত দুই, আহত জনা পঞ্চাশেক৷ রেলযাত্রীদের নিরাপত্তার দায় রাজ্যসরকারের ওপর চাপায়েছেন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ বলেছেন, রেলপুলিশ রাজ্যসরকারের৷ তবে রেলপুলিশের বেতনের ৫০ ভাগ দিয়ে থাকে রেলবিভাগ আর বাকিটা দেয় রাজ্য সরকার৷ মূলত রেলপুলিশ রাজ্য সরকারের অধীনে৷ অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রেল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি দিকে নজর রাখছে৷
আগামি সপ্তাহে ঝাড়খন্ডে বিধানসভা ভোট৷ ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা৷ সেই ভোটের প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, ঝাড়খন্ড ও দেশের আরও কিছু রাজ্য নক্সালদের মোকাবিলা করছে৷ কংগ্রেস বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রে হিংসার কোন জায়গা নেই৷ তবে আর্থিক বিকাশের সুফল পৌঁছে দিতে হবে আদিবাসী এলাকায়৷
পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, ঐ ট্রেনের তিনটি বগিতে যাচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন ছত্তিশগড়ে মাও-বিরোধী অভিযানে যোগ দিতে৷ ট্রেন উড়িয়ে দেবার পেছনে এটাও একটা সম্ভাব্য কারণ হতে পারে৷ কারণ মাওবাদীদের অন্যতম দাবি তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান বন্ধ করতে হবে৷
প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনায়: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক