ভারত-মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংলাপ
২৭ মে ২০১১আজ নতুন দিল্লির এই অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম বলেন, সন্ত্রাস উভয় দেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ৷ অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে জাল মুদ্রা, মাদক পাচার, সাইবার অপরাধ ইত্যাদি৷ এই অঞ্চলের জটিল বাতাবরণের প্রেক্ষিতে ভারতের প্রতিবেশী এলাকার কৌশলগত নীতি হলো, রাজনৈতিক সংলাপ বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে, রাজনৈতিক সুস্থিতি, অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা, যোগাযোগ বাড়ানো এবং প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য ভারতের বাজার সম্প্রসারিত করা ইত্যাদি৷
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী জেনেট নাপোলিটানো বলেন, দুদেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের জন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস-বিরোধী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা অপরিহার্য৷ আজকের আলোচনায় এইসব ক্ষেত্রে কৌশলগত ভবিষ্যৎ সহযোগিতা মজবুত করার বিষয়ে মত বিনিময় হয়৷ এক্ষেত্রে উভয় দেশের দৃষ্টিভঙ্গি অভিন্ন৷ বৈঠকে এজন্য যে ছটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে আছে, সাপ্লাই চেন, বন্দর নিরাপত্তা, সীমান্ত নিরাপত্তা, জলসীমা নিরাপত্তা, নগর পুলিশি ব্যবস্থা, গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ, জাল মুদ্রা ইত্যাদি বলেন মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী নাপোলিটানো৷ তিনি আরো বলেন, মার্কিন আদালতে মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী ডেভিড হেডলির সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয় ভারতকে৷ বিচার পর্ব শেষ হলে বিস্তরিত সবকিছু জানানো হবে ভারতকে৷
মুম্বাই হামলার অপরাধীদের বিচারের কাঠগোড়ায় আনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্টের উদ্যোগের প্রশংসা করে চিদাম্বরম বলেন, নিরাপত্তার যাবতীয় চ্যালেঞ্জ দুদেশের সহযোগিতার অন্তর্ভুক্ত৷ পূর্বাহ্নে সতর্কীকরণ তথা ব্যবস্থা গ্রহণ, ফরেনসিক তদন্ত, নগরগুলির সুরক্ষা, জনগণ, ব্যবসা বাণিজ্য ও উন্নয়নমূলক কাজকর্মের সুরক্ষা৷
ভারতের জনগণের নিরাপত্তার জন্য শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ প্রতিবেশী দেশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে স্বাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরম বলেন, একথা বললে সত্যের অপলাপ হবেনা যে, ভারত সম্ভবত সবথেকে কঠিন প্রতিবেশীর সঙ্গে বাস করছে৷ পশ্চিম সীমান্তের প্রতিবেশী দেশ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর৷ এজন্য পাকিস্তানকে তার দাম দিতে হচ্ছে৷ একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে সেখানে৷ মুম্বই হামলার অপরাধীদের আসামির কাঠগোড়ায় আনার জন্য মার্কিন উদ্যোগের প্রশংসা করে চিদাম্বরম এই সব ক্ষেত্রে কতটা অগ্রগতি হয়েছে ৬-মাস পর স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে তার তার মূল্যায়ণের প্রস্তাব দেন৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক