1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভার্চুয়াল বৈঠকে বাইডেন-শি

১৬ নভেম্বর ২০২১

দুই দেশের মধ্যে সংঘাত কমাতে বৈঠকে বসেছেন অ্যামেরিকা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট। তাইওয়ান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা।

https://p.dw.com/p/43321
বাইডেন-শি জিনপিং
ছবি: Jonathan Ernst/REUTERS

ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। বৈঠকের গোড়ায় দুই নেতাই প্রাথমিক বক্তব্য জানিয়েছেন। তাদের দুইজনের কথাতেই সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি উঠে এসেছে। এরপর তারা একান্ত আলোচনায় ঢুকে পড়েন। হোয়াইট হাউস সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, দীর্ঘ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এদিনের বৈঠকে তাইওয়ান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কোভিডকালে চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি চীনের বিরুদ্ধে সরব হন। কোভিডের জন্যেও চীনকে দায়ী করেন। এরপর জো বাইডেন ক্ষমতায় এলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেয়নি চীন। তা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন বাইডেন। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের ভার্চুয়াল বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বৈঠকের শুরুতেই প্রাথমিক প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট। শি জিনপিং বলেছেন, পুরনো বন্ধুর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পেরে তিনি খুশি। বস্তুত, বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, শি জিনপিংও তখন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দুইজন একসঙ্গে সফরও করেছেন। ফলে দুইজনের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক আছে। শিয়ের বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মোকাবিলার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এবং তার জন্য অ্যামেরিকাকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে বাইডেন বলেছেন, বিশ্ব রাজনীতির কাছে দায়বদ্ধ থাকার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি অত্যন্ত জরুরি। এবং এর জন্য কমনসেন্স গার্ডরেল তৈরি করা প্রয়োজন। বাইডেনের বক্তব্য, সংকীর্ণ বিতর্কের ঊর্ধ্বে ওঠার মানসিকতাই হলো কমনসেন্স গার্ডরেল।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এদিনের বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক কমার সম্ভাবনাও তারা দেখছেন না। তবে সংঘাত কমানোর একটি রাস্তা খুলল বলে তারা মনে করছেন। বাইডেন এদিনের বৈঠকেও মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলবেন বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখবেন না বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

তাইওয়ান সমস্যা

সম্প্রতি তাইওয়ান নিয়েও পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে চীনের বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাইওয়ানকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে অ্যামেরিকা-সহ পশ্চিমা বিশ্ব। অন্যদিকে চীন তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মনে করে। তাইওয়ানের আকাশে একাধিকবার চীন যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক আরো বেড়েছে। এদিনের বৈঠকে তাইওয়ান নিয়ে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)