প্র্যাংক: হাসবো না ভাববো?
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ইউটিউব-এর দৌলতে নানারকম প্র্যাংক ভিডিও, ট্রলিং ছবি অথবা ভিডিও আমরা হামেশাই দেখছি৷ আর সে সব দেখে হাসিতে পেট ফেটে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে আমাদের অনেকেরই৷ অল্প-বয়সি ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ঠাট্টা, ইয়ার্কি, একে-অন্যকে নিয়ে মজা করা – নতুন কিছু নয়৷ কিন্তু এমন হাসতে হাসতেই যে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে...৷
এই তো কয়েক মাস আগে ঢাকার অদূরে পীরগঞ্জ স্কুলের মাঠে খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে অকালে প্রাণ দিতে হয় ছোট্ট হৃদয় মিয়ার৷ বন্ধুদের দুষ্টুমি করে হৃদয়কে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল পুকুরে৷ ওরা জানতো না যে হৃদয় সাঁতার জানে না৷
আসলে মজাটা প্র্যাংক, আর প্র্যাংকটা হয়ে উঠতে পারে ব়্যাগিং, অচিরেই৷ অথচ এ ধরনের প্র্যাংক কতটা বাস্তব? কতটা ক্ষতিকর? – সেগুলো নিয়ে আমরা কি আদৌ ভাবি? এই ভিডিও-টার কথাই ধরুন৷ ভিডিও-তে এলিয়েট নামের এক তরুণকে দেখা যাচ্ছে তার দুই বন্ধুর সঙ্গে৷ ঘুমন্ত অবস্থায় এলিয়টকে নিয়ে যারা জলে ফেলে দেয়৷ এটা একটা প্র্যাংক৷ এলিয়েট সাঁতার জানতো৷ তাই ও প্রাণে বেঁচে যায়৷ আর আমরা ভিডিও-টা দেখে হাসি...৷
কিন্তু এলিয়েটের গল্পটা যদি হৃদয়ের মতো হতো? প্রযুক্তির জালে আটকে আমরা কি তখনও হাসতাম?
ডিজি/এসবি