ভূমিকম্পের প্রস্তুতি ও পর্যবেক্ষণ আরো উন্নত করা প্রয়োজন: বিশেষজ্ঞ
২০ সেপ্টেম্বর ২০১১বাংলাদেশে গত দেড়শ' বছরে দু'বার মাটির নিচ থেকে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়েছে৷ তবে অতীতে ঢাকার অদূরে মধুপুর ফাটল রেখায় রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হয়েছে৷ সেই ফাটল এখনো সক্রিয় – যা আতঙ্কের কারণ৷ আর বাংলাদেশের বস্থান ভূস্তরের ভারতীয় প্লেট এবং মায়ানমার প্লেটের মাঝামাঝি থাকায় দূরের ভূমিককম্পও এখানে অনুভূত হয়৷ তাই বাংলাদেশে থেকে বেশ দূরে সিকিম-নেপাল সীমান্তে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড.নুরুল ইসলাম নাজিম বলেন, আশপাশের দেশের ভূমিকম্পে প্রায়ই আমাদের দেশ কেঁপে ওঠে৷ যদি কোন ভূমিকম্পের কেন্দ্র বাংলাদেশ হয় তা হলে তা হবে অনেক ঝুঁকির৷
রোববার সিকিম নেপাল সীমান্তের ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ঢাকা থেকেও তীব্রভাবে অনুভূত হয়৷ এত দূরের ভুমিকম্প কেন এখানে তীব্রভাবে অনুভূত হল তা ভাবিয়ে তুলেছে বিশেষজ্ঞদের৷ অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরি বলেন, এর কারণ খুঁজে বের করে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে৷
বাংলাদেশে ৬ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রাম৷ কারণ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ভবন নির্মাণ কাঠামো বেশ দুর্বল৷ তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পে আতঙ্কিত না হয়ে দুর্যোগে কি করণীয় তা জানতে হবে৷ আর গড়ে তুলতে হবে জনসচেতনতা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক