ভোট গ্রহণ বন্ধে ইসির বিধানে যা আছে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও বন্ধ করাসহ বিভিন্ন নিয়ম কানুন জানিয়ে ১০ডিসেম্বর একটি পরিপত্র দিয়েছে ইসি৷ তাতে কী থাকছে দেখুন ছবিঘরে...
ভোটগ্রহণের সময়
আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ৷ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ও সময় উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসারগণ প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবেন৷ (ছবি: ২০১৮ সালের নির্বাচন)
স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স
নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ছাড়া অন্য কোনো ধরনের বাক্স ব্যবহার করা যাবে না৷ ভোটকক্ষে একই সময়ে একাধিক ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা যাবে না৷ একটি বাক্স ভর্তি হলে তা সবার সামনে সিল করে নির্ধারিত স্থানে রাখতে হবে৷
প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম প্রতীকসহ পোস্টার প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে প্রদর্শন করতে হবে৷ এজন্য পোস্টার ছাপিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোস্টার দেয়া হবে৷ (ছবি: ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২০)
কখন ভোট বন্ধ করা যাবে
ভোটগ্রহণ বিঘ্নিত বা বাধাগ্রস্ত হলে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পুনরায় চালু করা না গেলে প্রিজাইডিং অফিসার ঐ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবেন৷ এছাড়া স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স অপসারণ, ক্ষতিগ্রস্ত বা হারিয়ে গেলে এবং তার থেকে ঐ কেন্দ্রের ফলাফল নির্ধারণ করা না গেলেও তিনি ভোট বন্ধ করতে পারবেন৷ বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারকে জানানোর পর তিনি নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নিয়ে ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করবেন৷
বন্ধ ভোটকেন্দ্রে আবার ভোট
বন্ধ কেন্দ্রের ভোট ছাড়াই যদি ঐ আসনের ফলাফল নির্ধারণ করা যায় তাহলে নতুন করে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে না৷ আর তা না হলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রিটার্নিং অফিসার আরেকটি দিন ও সময় ঠিক করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবেন৷ এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের সব ভোটারই ভোট দিতে পারবেন৷ বন্ধ ঘোষিত নির্বাচনের ভোটগণনা করা যাবে না৷
নির্বাচনি কার্যক্রম বন্ধের ক্ষমতা
নির্বাচনে বল প্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন, চাপ সৃষ্টির কারণে নিরপেক্ষেভাবে ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করা না গেলে নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্র বা এমনকি যে কোন পর্যায়ে সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় ভোট বন্ধ করে দিতে পারবে কমিশন৷ একই কারণে ভোট কেন্দ্রের ফলাফলও স্থগিত করা যাবে৷ অনুসন্ধানের পর তা প্রকাশ করা যাবে অথবা বাতিল ঘোষণা করে নতুনভাবে ভোট গ্রহণের নির্দেশ দেবে কমিশন৷
ডাকযোগে ভোটগণনার বিবরণী
প্রিজাইডিং অফিসার ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি ডাকযোগে ভোটগণনার বিবরণীর কপি পাঠাবেন৷ এজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ২টি বিশেষ খাম সরবরাহ করা হবে৷ নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় খাম ছাপিয়ে তা রিটার্নিং অফিসারদের দেবেন৷ এই খাম নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পৌঁছানোর জন্য ভোটগ্রহণের দিন পোস্ট অফিসগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে ডাক বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন৷