1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভয় দেখানোর নানা কৌশল অবলম্বন করে সিআইএ

২৪ আগস্ট ২০০৯

এবার খোদ সিআইএ-র ভেতরেই উঠেছে কথাটা৷ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ইন্সপেক্টর জেনারেলের একটি রিপোর্ট এখন প্রকাশের অপেক্ষায়৷

https://p.dw.com/p/JHTw

রিপোর্টটিতে সিআইএ কীভাবে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালায় তার একটা বর্ণনা দেয়া হয়েছে৷

আল কায়েদার এক নেতাকে মৃত্যুদণ্ডের ভয় দেখিয়ে এবং বন্দুক আর বৈদ্যুতিক ড্রিল মেশিন গায়ে ঠেকিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেছে সিআইএ৷ অভিযোগটি বাইরে থেকে এলে নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষ তা উড়িয়ে দিতো, কিন্তু এবার আর সে উপায় নেই, খোদ সিআইএ-র ইন্সপেক্টর জেনারেলের রিপোর্টেই বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য৷ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার আগেই ভেতরকার সব তথ্য জানিয়ে দিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্ট৷ যুক্তরাষ্ট্রের এই জনপ্রিয় পত্রিকা দুটির প্রতিবেদন নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই শুরু হয়ে গেছে তুমুল আলোচনা৷

ওয়াশিংটন পোস্ট এক সিআইএ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লিখেছে, স্বীকারোক্তি আদায় করতে সিআইএ ভয় দেখানোর যে কৌশল আবলম্বন করে তা সত্যিই বিভৎস৷ পত্রিকাটি আরো লিখেছে, আল কায়েদা নেতা আব্দাল রহিম আল নাসিরিকে কারারক্ষীরা বুকে বন্দুক , ড্রিল মেশিন ঠেকিয়ে, কারো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বোঝাতে পাশের ঘরে ফাঁকা গুলি করে ভয় দেখানো হয়েছিল৷

সিআইএ-র ইন্সপেক্টর জেনারেল জন এল হেলগারসেন-এর এই রিপোর্টটি ২০০৪ সালের৷ সেখানে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে আটক আরেক ব্যক্তিকে ভয় দেখানোর জন্যও তার পাশের একটি কক্ষে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নাটক করা হয়েছিল৷ গত শুক্রবার নিউজউইক ম্যাগাজিনে হেলগারসেনের প্রথমবারের এ রিপোর্টের বিবরণ ছাপা হয়৷ তিনটি পত্রিকায় ছাপা হওয়ার পর প্রতিবেদনটির একটি সম্পাদিত রূপ সিআইএও প্রকাশ করতে চলেছে৷ নিউইয়র্কের এক আদালতের আদেশে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হচ্ছে৷এদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে নতুন এক পদক্ষেপ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ জর্জ ডাব্লিউ বুশের আমলের জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল আর থাকছে না৷ প্রেসিডেন্ট ওবামা সোমবার হাই ভ্যালু ডিটেইনি ইন্টারোগেশন গ্রুপ নামের নতুন একটি ইউনিট গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন৷

প্রতিবেদক: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক