মন্ত্রী বনাম পর্ন, বাংলাদেশের নতুন ‘যুদ্ধ'
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ- বিটিআরসির নির্দেশে গত এক সপ্তাহে এই ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো৷
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন,‘‘শিশুসহ সব বাংলাদেশি নাগরিকেরজন্য আমি একটি নিরাপদ ইন্টারনেট তৈরি করতে চাই৷ এটি পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে আমার যুদ্ধ৷ এবং এ যুদ্ধ চলবে৷''
জব্বার জানিয়েছেন, টিকটক এবং বিগো'র মতো কিছু অ্যাপের অপব্যবহার হচ্ছে বলে সেগুলোও ব্লক করা হয়েছে৷
তিনি জানান, ব্লক করে দেয়া ওয়েবসাইটগুলোর বেশিরভাগই বিদেশি৷ তবে গুটিকয়েক বাংলাদেশি সাইটও রয়েছে এর মধ্যে৷
গত বছরের নভেম্বরে হাইকোর্ট পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি আধেয় (অ্যাডাল্ট কনটেন্ট) ছয় মাসের মধ্যে ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলতে সরকারকে নির্দেশ দেয়৷
রোববার বাংলাদেশের এক উঠতি অভিনেত্রীকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে প্রকাশ করা তাঁর কিছু ভিডিও সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়৷ এরপর জনপ্রিয় এক ইউটিউবার সালমান মুকতাদিরের খোঁজ জানতে চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মন্ত্রী নিজেই৷
জব্বার জানান, স্থানীয় বিভিন্ন ফেসবুক পাতা, প্রোফাইল, ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেল সরকারের নজরদারিতে আছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এদের কোনো কোনোটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া যা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের সাথে যায় না, এমন কিছু ভবিষ্যতে পোস্ট না করার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়েছে৷''
১৬ কোটিরও বেশি মানুষের দেশে প্রায় এক কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন৷ এই ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট সার্চে প্রায়ই ওপরের দিকে থাকেন বিশ্বের বিভিন্ন পর্নো তারকা৷
এডিকে/জেডএইচ (এএফপি)