মশাবাহিত রোগের আতঙ্ক জার্মানিতেও!
১০ মার্চ ২০২১দেশি এবং অভিবাসী উভয় প্রজাতির রোগ সংক্রমণকারী মশা মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠার কথা জানান জার্মানির লাইবনিজ সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচারাল ল্যান্ডস্কেপ রিসার্চের জীববিজ্ঞানী ডোরিন ভের্নার৷ গবেষক ডোরিন ভের্নারের তথ্যের ভিত্তিতে ফ্রিডরিশ ল্যোফলার ইনস্টিটিউট (এফএলআই) এর গবেষক জানান, আফ্রিকান নীল জ্বরের ভাইরাস স্থানীয় মশার শরীরে শনাক্ত করা হয়েছে৷ এই ভাইরাসটি মূলত পাখিদের মধ্যে দেখা যায়৷ জার্মানির সরকারি রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট-এর মতে এই রোগটি পাখিদের মাধ্যমে ইউরোপে এসেছে৷ রোগটি ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের শরীরে রোগ বহু বছর ধরে গ্রীষ্মকালে সংক্রামিত হচ্ছে৷
২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো জার্মানিতেও পাঁচজন মানুষের শরীরে এর সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা নিশ্চিত করেছেন রবার্ট কখ ইন্সটিটিউটের মহামারী বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিনা ফ্র্যাঙ্ক৷তিনি জানান, গত বছর নীল জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০টি এবং তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন৷ তাছাড়াও স্যাক্সনি, বার্লিন এবং স্যাক্সনি-আনহাল্টেও এই রোগের প্রকোপ দেখা গেছে৷ তবে আরো বেশি মানুষের শরীরে এই রোগের জীবাণু রয়েছে বলে গবেষকদের ধারণা৷
মানুষের মধ্যে প্রাথমিকভাবে যেহেতু মশাবাহিত এই রোগের সুস্পষ্ট কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, শুধু গুরুতর ক্ষেত্রেই তা বুঝতে পারা যায়৷ তবে মশাবাহিত আফ্রিকান নীল ভাইরাস জ্বর আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অস্বীকার করা যায় না বলে মনে করেন গবেষক ফ্রাঙ্ক৷ জার্মানিতে ইতিমধ্যে এশিয়ান টাইগার মশা, জংলি বা পাহাড়ি মশা এবং এডিস মশা বেশ ভালোভাবেই জায়গা করে নিয়েছে বলে জানান বায়োলজিস্ট ভের্নার৷ জার্মানিতে বিদেশি প্রজাতির মশাবাহিত জিকা, চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গুর মতো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের সংক্রমণ যেমন ছড়িয়ে পড়েছে তা ঠেকানো কঠিন৷ এসব রোগের আরো বিস্তার ঘটবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷
এনএস/কেএম (ডিপিএ)