রেড স্কোয়্যারের অভিনব আকর্ষণ
৩ আগস্ট ২০১৭রাশিয়ার হৃদয় বলে পরিচিত মস্কোর রেড স্কোয়্যার সন্ধ্যার আলোয় সবচেয়ে সুন্দর দেখায়৷ লাল তারার পেছনেই ক্রেমলিনের গণ্ডি শুরু হচ্ছে৷ লাল প্রাচীরের ঠিক পেছনে রাশিয়ার ক্ষমতাকেন্দ্র৷ এর ঠিক বিপরীতে বিখ্যাত বিপণী গুম অবস্থিত৷ ধনী রুশরা এখানেই কেনাকাটা করেন৷
রেড স্কোয়্যারের উত্তরে সরু অংশে ঐতিহাসিক মিউজিয়াম ও দক্ষিণে ষোড়শ শতাব্দীতে তৈরি বাসিলুস ক্যাথিড্রাল শোভা পাচ্ছে – যাকে মস্কো শহরের সম্ভবত সবচেয়ে সুন্দর বলা হয়ে থাকে৷ গোটা এলাকা জুড়ে নানা দ্রষ্টব্য ছড়িয়ে আছে৷ আবার রেড স্কোয়্যার তার নিজস্ব গুণেও এক দ্রষ্টব্য বটে৷ রুশ সূত্র অনুযায়ী রেড স্কোয়্যার ৫০০ মিটার দীর্ঘ, ১৫০ মিটার প্রস্থ৷
সের্গেই সালোভইয়ভ গত প্রায় ১১ বছর ধরে লেনিন সেজে পর্যটকদের সঙ্গে ছবি তোলান৷ তিনি বলেন, ১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লবের নায়ক আজও অত্যন্ত জনপ্রিয়৷ তিনি বলেন, ‘‘পর্যটকরা প্লোরেতারিয়াতের নেতাকে চিনতে পারেন, যিনি গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন৷ তাঁরা প্রশ্ন করেন, ভ্লাদিমির ইলয়িচ – আপনি কেন এমন করলেন?’’
রেড স্কোয়্যারের নামের উৎস নিয়ে নানা মত রয়েছে৷ তবে ঐতিহাসিকভাবে একটি ব্যাখ্যা সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য৷ প্রাচীন রুশ ভাষায় জায়গাটির নাম ছিল ‘ক্রাসনায়া প্লোশচাদ’ – অর্থাৎ সুন্দর স্কোয়্যার৷ আজও সেই বিশেষণ প্রজোয্য৷
প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক রেড স্কোয়্যার বেড়াতে আসেন৷ প্রায় সবাই সেই স্মৃতি ধরে রাখতে ছবি তোলেন৷ যেমন ক্রেমলিনের সামনে লেনিনের সমাধি৷ আজও পর্যটকরা সেখানে লেনিনের মরদেহ দর্শন করতে পারেন৷ অথবা বাসিলিউস ক্যাথিড্রালের সামনে৷ কুখ্যাত জার বা সম্রাট ‘আইভান দ্য টেরিবল’ নাকি এর প্রধান মিস্ত্রীকে সরিয়ে ফেলেছিলেন, যাতে তিনি আর কখনো এত সুন্দর স্থাপনা তৈরি করতে না পারেন৷
ক্যার্স্টিন পালৎসে/এসবি