1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশের পথে ড্রাগন

১৬ নভেম্বর ২০২০

ফ্লোরিডার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে সফল ভাবে মহাকাশে রওনা হলো ড্রাগন। যার ভিতর আছেন চার মহাকাশচারী। 

https://p.dw.com/p/3lLHK
ছবি: REUTERS

তিন মার্কিন এবং এক জাপানি মহাকাশচারীকে নিয়ে সফল ভাবে মহাকাশের স্পেস স্টেশনের দিকে উড়ে গেল নাসার স্পেস এক্স-এর ড্রাগন মহাকাশযান। সোমবারই যানটির মহাকাশের স্পেস স্টেশনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। সেখানে অন্য মহাকাশচারীদের সঙ্গে আগামী ছয় মাস কাজ করবেন এই চার মহাকাশচারী। তারপর স্পেস এক্স-এর মহাকাশযানে চড়েই তাঁরা ফিরে আসবেন পৃথিবীতে।

এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে অ্যামেরিকার ফ্লোরিডায় নাসার গবেষণা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে মহাকাশে গিয়েছিল স্পেস এক্স-এর ড্রাগন। সেই মহাকাশযানেও মহাকাশচারী ছিলেন। তবে রোববার ফ্লোরিডা থেকে যে চারজন মহাকাশচারীকে পাঠানো হয়েছে, তাঁর আগামী ছয় মাস মহাকাশের স্পেস স্টেশনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় অংশ নেবেন।

চারজন মহাকাশচারীর তিনজন অ্যামেরিকার এবং একজন জাপানের। তাঁদের নাম যথাক্রমে, মাইকেল হপকিন্স, ভিক্টর গ্লোভার, শ্যানন ওয়াকার এবং সইচি নগুচি। গ্রিনিচ সময় রাত ১২টা ২৭ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রওনা হন তাঁরা।

এতদিন মহাকাশের স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারীদের আনা নেওয়ার কাজ মূলত করতো রাশিয়ার সয়ুজ মহাকাশযান। স্পেস এক্স-এর ড্রাগন বহু দিনের সেই নিয়মে খানিকটা পরিবর্তন আনলো। বস্তুত, রাশিয়ার মহাকাশযানের চেয়েও এই মহাকাশযান আর দ্রুত স্পেস স্টেশনে পৌঁছবে বলে নাসার বক্তব্য।

সোমবার সকালে নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অরবিট ভেদ করে ড্রাগন মহাকাশে ঠিক ভাবে পৌঁছে গিয়েছে। নাসার এই উৎক্ষেপনের পরে অ্যামেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নাসা এবং অভিযাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ডনাল্ড ট্রাম্পও টুইটে লিখেছেন 'গ্রেট'। উৎক্ষেপণের সময় ফ্লোরিডার স্পেস স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন অ্যামেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনস। তিনি বলেছেন, এ দিনের ঘটনা অ্যামেরিকার মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)