জার্মানি পরিবর্তন চায়
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১পরিবর্তন এসেছে৷ জার্মান ভোটারেরা জানিয়ে দিয়েছেন শেষ মহাজোট সরকারের ক্ষুদ্র আপোস দিয়ে আর কাজ হবে না৷ এখন জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটালাইজেশন ও জার্মানির প্রয়োজনীয় আধুনিকীকরণের মতো বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার সময়৷
এসব কাজ শুধুমাত্র ছোট দলগুলোর সঙ্গে মিলে করা সম্ভব৷ পরিবেশবাদী সবুজ দল ও ব্যবসাবান্ধব মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি দল ছাড়া এবার কিছু করা যাবে না - এবং এটা ভালো বিষয়৷
সবুজ দলের এবার বেশি ভোট পাওয়ার মানে হচ্ছে জার্মান ভোটাররা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত৷ সে কারণে জোট সরকার গঠনের আলোচনায় আত্মবিশ্বাস নিয়ে অংশ নিতে পারবে তারা৷
ব্যবসাবান্ধব দল এফডিপিকেও জোট সরকারের আলোচনায় নিতে হবে৷ তারা সবুজ দলের কিছু ইচ্ছায় বাগড়া দিতে পারে৷
ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ফল করা সিডিইউ/সিএসইউ এবার দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হলেও তারাও নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা করতে পারে৷ এর আগে গত কয়েক দশকে তিনবার এমন ঘটনা ঘটেছে যে, যিনি চ্যান্সেলর হয়েছেন তিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দলের ছিলেন না৷
ম্যার্কেল ২.০
নির্বাচনি প্রচারণার শুরুতে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের ভোট ছিল মাত্র ১২ শতাংশ৷ সেই অবস্থা থেকে দলকে শীর্ষ দলে পরিণত করেছেন চ্যান্সেলর প্রার্থী ওলাশ শলৎস৷ বর্তমান মহাজোট সরকারে অর্থমন্ত্রী ও ডেপুটি চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করা শলৎসকে অনেকে ম্যার্কেল ২.০ মনে করেন৷ কারণ ম্যার্কেলের মত তিনিও বেশি আবেগ না দেখিয়ে কাজের কাজটি করে থাকেন৷
সাময়িক সরকারি ফল বলেছে এবার এসপিডির নেতৃত্বে সবুজ ও এফডিপি দলের সমন্বয়ে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা বেশি৷ কিন্তু সবুজ ও এফডিপি দলের মতো দুটো দলের সঙ্গে এ সংক্রান্ত আলোচনা সহজ হবে না৷ কারণ জলবায়ু পরিবর্তন ও কর আরোপ এই দুটি বিষয়ে ঐ দুই দলের মধ্যে বেশ মতপার্থক্য রয়েছে৷
অর্থাৎ নতুন সরকার কেমন হতে যাচ্ছে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছে৷ তবে ভোটারেরা জানিয়ে দিয়েছেন তারা আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নীতির ধারাবাহিকতা চান না৷ গত কয়েক দশকের তুলনায় সিডিইউ ও এসপিডির মতো বড় দলগুলোর ক্ষমতা ও প্রভাব অনেক কমে গেছে৷
জার্মানির রাজনীতি আরও রঙিন হয়ে উঠবে৷ ভবিষ্যতের বড় ইস্যুগুলো জলবায়ুবান্ধব ও আধুনিক নীতি দিয়ে মোকাবিলা করার এখনই সময়৷
মানুয়েলা কাসপার-ক্লারিজ/জেডএইচ