মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেন ডা. মারে
৮ নভেম্বর ২০১১প্রায় দেড় বছর আগে অর্থাৎ ২০০৯ সালের ২৫ জুন মারা যান প্রতিভাধর ও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পপ শিল্পী জ্যাকসন৷ তাঁর মৃত্যুকে কেউ স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি৷ এই মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা৷ জ্যাকসনের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে অনেকেই অভিযোগ তোলেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মারের বিরুদ্ধে৷ অবশেষে ২৭ সেপ্টেম্বর লস অ্যাঞ্জেলেস সুপিরিওর কোর্টে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া৷ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় মোট ৪৯ জনের৷ এদের মধ্যে ৩৩ জন সাক্ষী মারের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেন৷ অন্যদিকে মারে'র পক্ষে সাক্ষ্য দেন ১৬ জন৷
দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার কনরাড মারেকে জ্যাকসনের মৃত্যুর জন্য দোষী সাব্যস্ত করে আদালত৷ রায়ে বলা হয়, জ্যাকসনকে অনিচ্ছাকৃতভাবে খুন করার জন্য দায়ী ডা. কনরাড মারে৷ একই সাথে ৫৮ বছর বয়সি এই চিকিৎসককে হাতকড়া পরিয়ে আটক করারও নির্দেশ দেন বিচারক প্যাস্টর৷ ফলে এখন তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তির রায় শোনার জন্য কারাগারে অপেক্ষায় থাকতে হবে মারে'কে৷
বিচারক মাইকেল প্যাস্টর এই রায় ঘোষণার পর আদালতের বাইরে অপেক্ষমান জ্যাকসন ভক্তরা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে৷ তবে একইসাথে প্রিয় তারকার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি অনেকে৷ রায় শোনার পর জ্যাকসনের মা ক্যাথরিন তাঁর ছেলে ব়্যান্ডিকে জড়িয়ে ধরেন৷ টিস্যু দিয়ে চোখের পানি মুছেন মা ক্যাথরিন৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাবা জো, জ্যাকসনের ভাই-বোন জেরমেন, রেবি এবং লা টয়া৷ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জেরমেন বলেন, ‘‘ন্যায় বিচার হয়েছে৷'' তাঁর সাথে রেবি যোগ করেন, ‘‘কোন কিছুই আর মাইকেলকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না৷ তবে তিনি যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সেজন্য আমি খুশি৷''
রায় শোনার পর মলিন মুখে দেখা গেছে ডা. মারে'কে৷ তবে কোন মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি৷ আইন বিশারদরা মনে করছেন, চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে কনরাড মারের৷ এছাড়া চিকিৎসা পেশা থেকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে তাঁকে৷ কারণ তাঁকে এখন জনসাধারণের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে আদালত৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক