মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করতে পারেন ট্রাম্প
২৫ নভেম্বর ২০২০যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেলে তার মামলাটি আর আদালতে গড়াবে না৷ ট্রাম্প তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন৷ মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি তদন্তের সময় এফবিআইকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছিলেন ফ্লিন৷
আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ নেয়ার আগেই নিয়ম অনুযায়ী ট্রাম্পকে এই ক্ষমা ঘোষণা করতে হবে৷ মাইকেল ফ্লিন ক্ষমা পেলে তিনি হবেন ট্রাম্পের ক্ষমা পাওয়া সর্বোচ্চ পদাধিকারী ব্যক্তি৷ তবে ট্রাম্প যেকোনো সময় তার মত বদলাতে পারেন বলেও এক ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন৷
ট্রাম্পের অভিষেকের আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন ফ্লিন৷ রবার্ট ম্যুলারের নেতৃত্বে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ঘটনা তদন্তের সময় সেকথা গোপন করেন ফ্লিন৷ ট্রাম্প প্রশাসনের পথ চলার মাত্র ২২ দিনের মাথায় ফ্লিনকে বরখাস্ত করা হয়৷ যদিও সেই তদন্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বরাবরই উল্লেখ করে আসছেন ট্রাম্প৷ ট্রাম্পের মতে, সাবেক আর্মি জেনারেল এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ফ্লিন ‘ভালো মানুষ’৷
এই বছরেই বিচার বিভাগ ফ্লিনের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেয়৷ তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ট্রাম্পের জয়ে কোন ভূমিকা রাখেনি বলে জানায় বিচার বিভাগ৷ যদিও একজন বিচারপতি এ ব্যাপারটি আর একবার খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছিলেন৷ তবে ট্রাম্প যদি ফ্লিনকে ক্ষমা করে দেন, তাহলে বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপের আর প্রয়োজন পড়বে না৷ মার্চ মাসে একবার ট্রাম্প বলেছিলেন, ফ্লিন পুরোপুরি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য৷
এপিবি/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)