রাখাইন পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না সু চি!
২১ নভেম্বর ২০১৭মিয়ানমারে চলমান ‘এশিয়া-ইউরোপ মিটিং' বা আসেম-এর উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সু চি৷
রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা – এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, ‘‘আমরা বলতে পারব না এমনটা হয়েছে কিনা৷ তবে সরকারের দায়িত্ব হিসেবে, এমন ঘটনা যেন না ঘটে তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে৷''
বুধ ও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া নিয়ে বৈঠক হবে বলে জানান সু চি৷ ‘‘আমরা আশা করছি এর ফলে দ্রুত একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে৷ এবং যাঁরা সীমান্ত পাড়ি দিয়েছেন তাঁদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ফিরে আসার প্রক্রিয়া শুরু হবে'', বলেন তিনি৷
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে নব্বইয়ের দশকে দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়ে তা অনুসরণ করা হবে বলে জানান তিনি৷
উল্লেখ্য, গতমাস থেকে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সম্প্রতি দাবি করেছেন, ‘‘দুই দেশ এক ধরনের বোঝাপড়ায় প্রায় উপনীত হয়েছে, এখন শুধু কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো বাকি৷''
তবে চুক্তির বিষয়টি ঠিক কতটা এগিয়েছে তা বলা কঠিন বলে জানিয়েছেন সু চি৷
প্রায় দুই বছর গবেষণা করে মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি৷ এতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর দেশটির সরকারের নিয়ন্ত্রণকে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘অ্যাপার্থাইড' বা বর্ণবাদ আমলের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে৷
গবেষণার মাধ্যমে অ্যামনেস্টি বর্তমান রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছে৷ ১০০ পৃষ্ঠার এই গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ‘‘বহু বছর ধরে ‘সরকারি সহায়তায়' রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া চলেছে৷''
অ্যামনেস্টির গবেষণা বিষয়ক ঊর্ধ্বতন পরিচালক আনা নাইস্টাট বলেন, ‘‘রাখাইন রাজ্য একটি ক্রাইম সিন৷ গত তিন মাসের সামরিক অভিযানের অনেক আগে থেকেই রাখাইনের অবস্থা সেরকম ছিল৷''
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)