মানবিক সংকট কাটাতে আফগানিস্তানকে দরাজ হাতে সাহায্য
আফগানিস্তানে মানবিক সংকট এড়াতে ৬০ কোটি ডলার পাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছিল জাতিসংঘ। কিন্তু উঠল একশ কোটি ডলার।
আফগানিস্তান নিয়ে আশঙ্কা
তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠা, করোনার থাবা এবং খরার ফলে আফগানিস্তানের মানুষ তীব্র সংকটের মধ্যে পড়তে চলেছেন বলে মনে করে জাতিসংঘ। সেজন্যই তারা সংকট এড়াতে বাড়তি অর্থ জোগাড় করতে চেয়েছিল। জেনিভায় ডোনার কনফারেন্সে তারা পেল একশ কোটি ডলার।
গুতেরেস খুশি
জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস জানিয়েছেন, তারা ৬০ কোটি ডলার তুলতে চেয়েছিলেন। একশ কোটি ডলার ওঠায় তিনি খুবই খুশি। এই অর্থ দিয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আফগানিস্তানে মানবিক সংকট এড়াতে কাজ করবে জাতিসংঘ।
কী কাজ হবে?
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই অর্থ দিয়ে পানীয় জল, চিকিৎসা ও জরুরি নিকাশি ব্যবস্থা তৈরির কাজ হবে। তাছাড়া নারী ও শিশুদের শিক্ষার জন্যও অর্থ খরচ করা হবে।
সংশয় সত্ত্বেও
কিছু দেশের অর্থসাহায্য করা নিয়ে সংশয় ছিল। তাদের প্রশ্ন ছিল, এখন তালেবান ক্ষমতায়। সেখানে অর্থ কীভাবে খরচ করা হবে? তবে সেই সংশয় কাটিয়ে ৪০টি দেশের প্রতিনিধিরা দরাজ হাতে সাহায্য করতে রাজি হয়েছেন।
জার্মানি ও অ্যামেরিকা
আফগানিস্তানের জন্য জার্মানি দিয়েছে ১০ কোটি ইউরো। আর অ্যামেরিকা দিয়েছে ছয় কোটি ৪০ লাখ ডলার।
খাদ্যসংকটের মুখে
এক হাজার ৬০০ জন আফগানকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিল ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। তার মধ্যে ৯৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা ঠিকভাবে খেতে পারছেন না। কারণ, তাদের হাতে অর্থ নেই। ব্যাংক বন্ধ থাকছে। খুললেও তাদের কাছে বেশি অর্থ থাকছে না। ফলে তীব্র অর্থসংকট চলছে।
সময়ের সঙ্গে লড়াই
জাতিসংঘের শরণার্থী কমিশনার জানিয়েছেন, তাদের সময়ের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আফগানিস্তান ভয়ংকর মানবিক সংকটের মধ্যে পড়বে।