মারিউপলে শক্তিবৃদ্ধি রাশিয়ার
১১ এপ্রিল ২০২২এই সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ব ইউক্রেনে এই সপ্তাহে রাশিয়া সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে বলে দাবি করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি। গোটা ইউক্রেন জুড়ে যুদ্ধের সাইরেন বাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিয়েভ, লিভিভের মতো শহরেও সাইরেন বাজানো হয়েছে। মার্কিন গবেষণা সংস্থা তথা থিংক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারিউপল শহরটি কার্যত দখল করে নিয়েছে রাশিয়ার সেনা।
দীর্ঘদিন ধরে এই শহরে লড়াই চলছিল। কার্যত গোটা শহরটিই ধ্বংস হয়ে গেছে রাশিয়ার বোমায়। রোববার সেই শহর প্রায় দখল করে ফেলেছে রাশিয়ার সেনা। কিন্তু ডনবাস অঞ্চলে সেনার সংখ্যা বাড়ালেও তা দখল করা যায়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন থিংক ট্যাঙ্ক। জেলেনস্কিও দাবি করেছেন, পূর্ব ইউক্রেনে সর্বশক্তি নিয়ে লড়াই শুরু করেছে রাশিয়া। কিন্তু ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার সেনা খুব বেশি অগ্রসর হতে পারেনি।
জেলেনস্কির দাবি, রাশিয়া এখন ইউক্রেনে একটি পুতুল সরকার তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। রাশিয়ার কথায় যারা সবকিছু করবে। কিন্তু ইউক্রেনের মানুষ তা হতে দেবে না। বস্তুত, রোববার জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎসের সঙ্গে কথা হয়েছে জেলেনস্কির। রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেওয়ার কথা তার। অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরের সোমবার কথা হতে পারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বক্তব্য
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক জানিয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসনের পরে ইউক্রেনের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কার্যত অর্ধেকে পৌঁছে গেছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের হিসেব গত এক মাসে ইউক্রেন ৪৫ শতাংশ অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। সমস্ত ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। লড়াইয়ের কারণে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ আর্থিক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ইউক্রেন। মলডোভা, বেলারুশেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দেশগুলি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের আশঙ্কা।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, বিবিসি)