1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাপের মুখে রাশিয়া

২২ জুলাই ২০১৪

ইউক্রেনের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত এলাকার উপর এমএইচ১৭ বিমান ধ্বংস হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার উপর আন্তর্জাতিক চাপ বেড়ে চলেছে৷ এদিকে নেদারল্যান্ডস-এর এক বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পেরেছে৷

https://p.dw.com/p/1CgCl
MH17 Flugzeugabsturz Absturzstelle Ukraine 18.7.2014
ছবি: picture-alliance/dpa

অবশেষে নেদারল্যান্ডস-এর ৩ সদস্যের এক বিশেষজ্ঞ দল মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস-এর ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করতে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে পৌঁছতে পেরেছেন৷ তাঁদের কাজ বিপর্যয়ের পর মানুষের লাশ শনাক্ত করা৷ রুশপন্থি বিদ্রোহীরা কাছেই এক রেল স্টেশনে ২৪৭টি মৃতদেহ রেফ্রিজারেটেড ওয়াগানে রেখে দিয়েছে৷ তাদের সূত্র অনুযায়ী, সেগুলি অভিশপ্ত বিমানটির ২৯৮ জন যাত্রী ও কর্মীদের একাংশের লাশ৷ উল্লেখ্য, আরোহীদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই নেদারল্যান্ডস-এর নাগরিক ছিলেন৷ তদন্তকারী দলের প্রধান জানিয়েছেন, প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও মৃতদেহগুলি ভালোভাবেই রাখা হয়েছে৷ সেগুলিকে দ্রুত শনাক্ত করে সমাধিস্থ করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন৷ ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তাদের সূত্র অনুযায়ী ঘটনাস্থলে মোট ২৭২টি মৃতদেহ ও ৬৬টি শরীরের অংশবিশেষ পাওয়া গেছে৷

ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংস করার ঘটনার ফলে ইউক্রেন সংকট নতুন মাত্রা পেয়েছে৷ দেশের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিদ্রোহী ও তাদের মদতকারী রুশ সরকার আন্তর্জাতিক মহলে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে৷ মস্কো এই ঘটনার দায় স্বীকার না করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে দায়ী করে চলেছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু না হওয়ায় কোনো দাবির সপক্ষে অকাট্য প্রমাণ এখনো পাওয়া যায় নি৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি অবশ্য বলেছেন, এই ঘটনায় রাশিয়ার জড়িত থাকার অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ গত মাসেই রাশিয়া থেকে ১৫০টি সামরিক যানের এক বহর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করেছে বলে তিনি দাবি করেন৷ তার মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য ট্যাংক ও রকেট লঞ্চারও ছিল৷ ঘটনাস্থলে মালয়েশীয় বিমানের আরোহীদের মৃতদেহের প্রতি যে অসম্মান দেখানো হয়েছে, তার ফলেও তিনি চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন৷ উল্লেখ্য, রুশপন্থি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও আরোহীদের মৃতদেহ সুরক্ষার কোনো উদ্যোগ প্রথমে চোখে পড়েনি৷ আন্তর্জাতিক তদন্ত দলগুলিকেও সেখানে ঘেঁষতে দেয়নি তারা৷ নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন-কে টেলিফোনে অনেক কড়া কথা শুনিয়েছেন৷ সবার দাবি এক – পুটিন তাঁর প্রভাব খাটিয়ে বিদ্রোহীদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে বাধ্য করুন৷

মালয়েশীয় বিমান ধ্বংস করার ঘটনার জের ধরে রাশিয়ার উপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর দাবিও বাড়ছে৷ মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ বিষয়ে আলোচনা করবেন৷ বিশেষ করে ব্রিটেন কড়া মনোভাব দেখানোর পক্ষে সওয়াল করছে৷ তবে এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস সরকারের অবস্থানকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ জাতীয় শোকের আবহ সামলে উঠে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে স্পষ্ট অবস্থান নেবেন, এমনটাই আশা করা হচ্ছে৷ জার্মানি ও ফ্রান্স এতকাল রাশিয়ার উপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তেমন উদ্যোগ দেখায়নি৷ তবে মালয়েশীয় বিমান ধ্বংসের পর রাশিয়া সম্পর্কে তাদের অবস্থানেও পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷

এসবি / জেডএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য