মাসিক বা ঋতুস্রাব নিয়ে বলিউড তারকাদের ভাবনা
‘মাসিক’ এখনো আমাদের সমাজে একটা ‘ট্যাবু’৷ আর এই ট্যাবুকে ভাঙতে এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা৷ কী বলছেন তারা জানুন ছবিঘরে৷
কারিনা কাপুর খান
‘‘ঈশ্বর এটা সৃষ্টি করেছেন৷ মাসিক একটা স্বাভাবিক জিনিস৷ তাই আমরা কীভাবে বলতে পারি যে মাসিক চলাকালীন নারীরা অপবিত্র? কেন মেয়েদের এ কারণে নোংরা ভাবা হবে এবং এই একই কারণে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারবে না?
টুইঙ্কেল খান্না
‘‘স্যানিটারি প্যাড নিয়ে এমন আচরণ করা হয় যেন এগুলো রেডিওঅ্যাকটিভ আইসোটোপ বা তেজষ্ক্রিয় পদার্থ৷ দোকানে কিনতে গেলে খবরের কাগজ দিয়ে ঢেকে গোপনে দেয়া হয়৷ এটা কী এমন ব্যাপার যে পুরুষরা যদি এই প্যাকেট সম্পর্কে জেনে ফেলে যে এটা ‘হুইসপার উইথ উইংস’ এবং জানার সাথে তারা ভেঙ্গে পড়বে?’’
কঙ্গনা রানাউত
‘‘মাসিকের রক্ত নিয়ে কেউ যদি কথা বলে সেটা নিয়ে মোটেও আমি বিচলিত হই না৷ কেবল এটাকে বিশাল একটা কিছু না ভাবলেই হলো৷ এর ফলেই আমাদের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার হওয়ার সামর্থ্য জন্মে৷ পুরুষদের শরীরের নির্গত ফ্লুইড নিয়ে যদি এত কথা না হয়, তাহলে মেয়েদের শরীর নিঃসৃত তরল নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করার কিছুই নেই৷’’
গুল পানাগ
‘‘ঋতুস্রাব বা মাসিক খুব স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া৷ কোনো মেয়ের এটা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ার কারণ নেই৷ এ বিষয়ে নিশ্চুপ থাকা মানে এ বিষয়ে শিক্ষার অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা, যেটা কিনা মেনোপজের আগ পর্যন্ত আমাদের জীবনের মাসিক ঘটনা৷’’
পরিনীতি চোপড়া
‘‘এটা ভীষণ লজ্জাজনক যে পুরুষরা এখনো মাসিক সম্পর্কে সচেতন নয়৷ এটা আরও দুঃখজনক যে তারা এটাকে সমস্যা বলে মনে করে৷ একবিংশ শতাব্দীতেও আমরা এ ধরনের কথা বলছি!’’
কালকি কোচলিন
‘‘যখন আমরা আমাদের মাসিক চলাকালীন সময়টা নির্বিঘ্নে পার করছি, তখন হাজার হাজার মেয়েকে নানা কুসংস্কার ও প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে৷ তাই আমি মেয়েদের বলতে চাই, সব কুসংস্কার ভেঙ্গে সামনে এগিয়ে চল৷’’
শ্রদ্ধা কাপুর
‘‘আমি স্কুলে মাসিক নিয়ে ছেলেদের সঙ্গে মজা করতাম৷ আমার যে মাসিক চলছে সেটাও তাদের জানিয়ে দিতাম৷ তারা বলতো, ‘তুই কীভাবে নির্দ্বিধায় এটা বলিস?’ আমি বলতাম, ‘এই যে আমি বললাম৷’