মিউনিখে ‘শুনতে কি পাও!’
১০ মে ২০১৩বৃহস্পতিবার রাতে একটি প্রদর্শনী হয়ে গেছে৷ আগামী ১২ মে সন্ধ্যায় দ্বিতীয় প্রদর্শনী৷ মিউনিখে বসবাসরত বাংলা ভাষাভাষীরা তাই ছবিটি দেখার সুযোগ নিতে পারেন৷ সুন্দরবনের কোলে অবস্থিত ছোট্ট একটি গ্রামের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘শুনতে কি পাও!'৷ ভিন্নধারার এই ছবিটির পরিচালক কামার আহমেদ সাইমন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘২০০৯ সালে বাংলাদেশে যখন জলোচ্ছ্বাসটা (সিডর) হয়, তার পাশাপাশি সারা পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত যে সম্মেলনগুলো হচ্ছিল, দুটোই আমাকে একই সঙ্গে প্রভাবান্বিত করে৷ এই পরিবর্তনের ফলে আমার দেশের মানুষ যে ক্ষতির মুখে পড়ছে, তা আমি প্রতিদিনকার সংবাদের পড়ছিলাম৷ তখন আমি স্বাভাবিকভাবেই আলোড়িত বোধ করি এবং একজন চলচ্চিত্র কর্মী বা একজন মানুষ হিসেবে এই বিষয়ে কিছু একটা করার আকুতি অনুভব করি৷ সেই আকুতি থেকেই এই ছবিটি করা৷''
গত বছরের অক্টোবরে প্রামাণ্যচিত্র বিষয়ক বিশ্বের প্রাচীনতম উৎসব ‘ডক-লাইপসিশ'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয় ‘শুনতে কি পাও!' ছবিটি৷ এর আগে কোনো বাংলা ছবি দিয়ে উৎসবের শুরু করেনি ‘ডক-লাইপসিশ'৷ তবে এটাই ছবিটির একমাত্র সাফল্য নয়৷ সম্প্রতি প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউরোপের অন্যতম প্রামাণ্যচিত্র উত্সব ‘সিনেমা দ্যু রিল'-এ শ্রেষ্ঠ ছবি পুরস্কার অর্জন করে ‘শুনতে কি পাও!'৷ প্রথম সারির আন্তর্জাতিক আসরে এটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো ছবির সর্বোচ্চ সম্মাননা৷
তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একাধিক প্রদর্শনী ও পুরস্কার পেলেও বাংলাদেশের সাধারণ দর্শকরা এখনও ছবিটি দেখতে পারেননি৷ এই প্রসঙ্গে এক ই-মেল বার্তায় কামার আহমাদ সাইমন বলেন, ‘‘দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে নিকট ভবিষ্যতে ছবিটি মুক্তি দেয়ার ইচ্ছা রাখি৷''
উল্লেখ্য, মিউনিখ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উত্সবের আন্তর্জাতিক বিভাগে মোট ১০টি ছবি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে৷ এর মধ্যে ‘শুনতে কি পাও!' ছবিটি রয়েছে৷ প্রতিযোগিতার অন্যান্য ছবিগুলো যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন, ভারতসহ কয়েকটি দেশ থেকে বাছাই করা হয়েছে৷