1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুন্সিগঞ্জে লঞ্চডুবি

১৩ মার্চ ২০১২

মঙ্গলবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে একটি তেলবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ঢাকাগামী একটি লঞ্চ ডুবে গেছে৷ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/14JjI
ছবি: picture-alliance / dpa/dpaweb

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান খন্দকার শামসুজ্জামান অবশ্য বার্তা সংস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম'কে জানিয়েছেন, দুপুর পর্যন্ত ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি৷

এদিকে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান৷ দুপরে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ত্রিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে৷ তবে একই পরিবারের একাধিক ব্যাক্তি মারা গিয়ে থাকলে পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা করে পাবে৷’’

বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের একজন দুলাল দেওয়ান সাংবাদিকদের জানান, এমভি শরিয়তপুর-১ নামের দ্বিতল লঞ্চটি শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে ঢাকা যাচ্ছিল৷

ইতিমধ্যে নদীর তলদেশে লঞ্চটির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে৷ চরকিশোরী এলাকায় প্রায় ৭০ ফুট পানির নীচে রয়েছে লঞ্চটি৷ উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম সেখানে পৌঁছে গেছে৷ উদ্ধারকাজ চলছে৷

এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়৷ যুগ্ম সচিব বায়তুল আমিন ভূঁইয়াকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে৷

এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের যাত্রীদের খোঁজে তাদের স্বজনরা নদী তীরে জড়ো হয়েছেন৷ লঞ্চের বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আজিজুল আলম জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে গজারিয়ার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে৷

দুলাল জানান, লঞ্চের আড়াইশর মতো যাত্রীর অধিকাংশই দুর্ঘটনার সময় ঘুমিয়ে ছিলেন৷ দুর্ঘটনার পর চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী এমভি মিতালী নামের আরেকটি লঞ্চের সহায়তায় ২৫-৩০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ