মুম্বইয়ে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের দেখতে জনসমুদ্র
রোহিত শর্মাদের নিয়ে বিমান নামে চারটে ৩৩ মিনিট নাগাদ। তারপরের চারঘণ্টা ধরে মুম্বইয়ে ছিল শুধু উন্মাদনা।
নরিম্যান পয়েন্টের অবস্থা
দুপুর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে নরিম্যান পয়েন্টে। ক্রিকেটারদের আসার সময় যত কাছে আসতে থাকে, ততই ভিড় বাড়তে থাকে। একেবারে ঠাসা ভিড়। কোথাও পা ফেলার জন্য বাড়তি জমি নেই। সমুদ্রের ধার থেকে রাস্তা পর্যন্ত শুধু মানুষ এবং মানুষ। ট্রেন থেকে মানুষ নেমে সোজা ছুটছে নরিম্যান পয়েন্টের দিকে।
রাস্তায় যানজট
ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় যানজট শুরু হয়। রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। তার পাশে ঠাসা মানুষ। তারপরেই সমুদ্র অর্ধচন্দ্রাকারে ঘুরে গেছে। মুম্বইয়ের এই মেরিন ড্রাইভ, নরিম্যান পয়েন্ট অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। কিন্তু এদিন তার চেহারা ছিল আলাদা, সেখানে মানুষের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। পুলিশকে এই যানজট সামাল দিতে প্রবল ঝামেলায় পড়তে হয়।
হুডখোলা দোতলা বাসে
মুম্বইয়ের আইকনিক নরিম্যান পয়েন্ট থেকে বাসে করে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আসেন ক্রিকেটাররা। হুড খোলা বাসের দোতলায় ক্রিকেটাররা। তাদের সঙ্গে বিসিসিআইয়ের সম্পাদক জয় শাহ, সহ সভিপতি রাজীব শুক্লও ছিলেন। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বোর্ড সভাপতি রজার বিন্নি। ভিড় ঠেলে সেই বাসের যাওয়াই ছিল দুষ্কর।
বাসের চারপাশে জনসমুদ্র
ক্রিকেটারদের নিয়ে বাস এগোতে থাকলো নরিম্যান পয়েন্টের দিকে। চারপাশে শুধু মানুষ। বিশ্বকাপজয়ীদের একবার দেখার জন্য সে কী উন্মাদনা। মানুষের ভিড় ঠেলে যাওয়াটাই একটা চ্যালেঞ্জ। মুম্বইয়ে গরম ছিল প্রচণ্ড। তার উপর আদ্রতা ছিল খুব। ফলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ছবি
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ঢোকার গেট খুলে দেয়া হয় বিকেল চারটের সময়। প্রচুর মানুষ একসঙ্গে ঢুকতে থাকেন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে য়ায়। তখন বৃষ্টি পড়ছিল। তাই মানুষরা তাড়াহুড়ো করে স্টেডিয়ামে ঢুকতে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্টেডিয়াম পুরো ভর্তি হয়ে যায়।
ক্রিকেটাররা আসার পর
ক্রিকেটারদের নিয়ে বাস আসে ওয়াংখেড়েতে। তারা মাঠে ঢোকেন। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান। বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। ক্রিকেটারদের সামনে একটি স্ট্যান্ডে রাখা ছিল বিশ্বকাপ।
মাঠ প্রদক্ষিণ
ক্রিকেটাররা মাঠ প্রদক্ষিণ করতে শুরু করেন। জনতা গর্জন করতে শুরু করে। পুরো মাঠ ঘোরেন তারা।