1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজমেক্সিকো

মেক্সিকোয় আবার সাংবাদিক হত্যা

৩০ জুন ২০২২

সাংবাদিকদের জন্য আরেকটি ভয়াবহ বছর কাটছে মেক্সিকোয়৷ বছরের ছয় মাস না যেতেই নিহত হলেন দ্বাদশ সাংবাদিক৷ এবার গুলিতে প্রাণ হারালেন আন্তনিয়ো দে লা ক্রুস৷

https://p.dw.com/p/4DSgG
Mexiko Journalist Antonio de la Cruz
ছবি: REUTERS

মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য তামাউলিপাসের শহরের এক পত্রিকার রিপোর্টার আন্তনিয়ো দে লা ক্রুস বুধবার নিজের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই আততায়ীর গুলিতে লুটিয়ে পড়েন৷ হামলায় তার স্ত্রী এবং ২৩ বছর বয়সি কন্যাও আহত হয়েছেন৷ দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক৷

উত্তর আমেরিকার দেশটিতে বছরে সর্বোচ্চ ১৩ জন সাংবাদিক নিহত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে৷ ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসেই সেই রেকর্ড হুমকির মুখে৷

৪৭ বছর বয়সি আন্তনিয়ো দে লা ক্রুসকে কে, কেন হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি৷ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স ইতিমধ্যে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আন্তনিয়োর সাংবাদিকতার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা তদন্ত করে জানার জন্য মেক্সিকো সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেস-এর মুখপাত্র ইয়েসুস দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা সাংবাদিক এবং অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর এমন হামলা চলতে দিতে পারি না৷ অপরাধীর শাস্তি অবশ্যই হবে৷''

জানা গেছে, তামাউলিপাসের চিউদাদ ভিক্টোরিয়া শহরের এক্সপ্রেসো পত্রিকার প্রতিবেদক আন্তনিয়ো দে লা ক্রুস মূলত পানি সংকটসহ স্থানীয় নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন করতেন৷ এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলাকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন৷

তবে এক্সপ্রেসোর সম্পাদক মিগুয়েল দমিংগুয়েজ বলেছেন, ‘‘নিজের জীবন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা আছে এমন কথা আন্তনিয়ো কখনো আমাদের বলেনি৷'' মিলেনিও টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, ‘‘তিনি (আন্তনিয়ো) তামাউলিপাসের বাস্তবতা সম্পর্কে জানতেন৷ খুব সাহসী ছিলেন তিনি৷''

মেক্সিকোয় সাংবাদিক হত্যা প্রায় নিয়মিত ঘটনা৷ ২০০০ সাল থেকে সে দেশে এ পর্যন্ত ১৫০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন৷

তামাউলিপাস এমনিতেও খুব সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা৷ সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মের জন্য কুখ্যাত অঞ্চলটিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা সাংবাদিক হত্যাও নতুন কিছু নয়৷

অতীতে এক্সপ্রেসো পত্রিকাও হামলার শিকারহয়েছে৷ সবচেয়ে বড় হামলাটি হয়েছিল ২০১২ সালে৷ সেবার এক্সপ্রেসো কার্যালয়ের বাইরে বোমা হামলা চালানো হয়৷২০১৮ সালে কার্যালয়ের বাইরে মৃতদেহ রেখে চিরকুটে লিখে দেয়া হয়, সন্ত্রাস নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এই পরিণতি হবে৷সে বছরই এক্সপ্রেসোর রিপোর্টার হেক্টর গণ্সালেসকে পিটিয়ে মারে সন্ত্রাসীরা৷

(এসিবি/ কেএম এপি, এএফপি)