1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
অভিবাসনমেক্সিকো

মেক্সিকোয় ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির আতঙ্ক

৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির আতঙ্কে মেক্সিকোতে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের বাসিন্দারা নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন। উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মাঝে মেক্সিকোতেও তারা আর নিরাপদ বোধ করছেন না।

https://p.dw.com/p/4nkD3
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর অভিবাসন বিষয়ক বেশ কিছু নীতিতে পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে বেড়ার ফাঁকা দিয়ে তাকিয়ে আছে এক শিশুছবি: GUILLERMO ARIAS/AFP/Getty Images

মেক্সিকোতে বসবাসরত  ভেনেজুয়েলার ৫২ বছর বয়সি অভিবাসী নিদিয়া মন্টেনিগ্রো দিনভর অপেক্ষা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্ত কর্মকর্তাদের সাথে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সাক্ষাৎকারের বার্তা পাওয়ার। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে চাওয়া নিদিয়ার জন্য এই সাক্ষাৎকারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ২০ জানুয়ারি ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে নেয়ার আগেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে  প্রবেশ করতে চাইছেন।

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর অভিবাসন বিষয়ক বেশ কিছু নীতিতে পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেগুলো বাস্তবায়িত হলে নিদিয়ার মতো হাজার হাজার অভিবাসী অনিশ্চয়তায় পড়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাদের অনিয়মিত পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা, অথবা নিজের দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া বিকল্প উপায় থাকবে না। 

মেক্সিকোয় ছয় অভিবাসনপ্রত্যাশী হত্যা, সেনাসদস্য গ্রেপ্তার

তবে এমন পরিস্থিতিতে মেক্সিকোয় থাকার চেয়ে নিজ দেশ ভেনেজুয়েলাতে ফেরত যাওয়াকেই বেশি নিরাপদ মনে করেন তিনি। মেক্সিকোতে বসবাসকালীন তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিদিয়া বলেন, "আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। যদি আমি সাক্ষাৎকারের সময়-সুযোগ না পাই, তাহলে ফিরে যাবো।" তিনি আরো বলেন, "সবসময়ই পাচারকারীদের দ্বারা অপহৃত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।"

মেক্সিকোতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেয়া অন্তত এক ডজন অভিবাসী জানিয়েছেন, দারিদ্র্য, কর্মসংস্থানের অভাব, নিরাপত্তাহীনতা ও রাজনৈতিক সংকটের মতো সমস্যা থাকা সত্ত্বেও মেক্সিকোতে থাকার চেয়ে তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পছন্দ করবেন।

নিদিয়া মন্টেনিগ্রো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, দু'মাস আগে গুয়াতেমালা থেকে দক্ষিণ মেক্সিকোতে আসার সময় তাকে ও তার দুই ভাগ্নেসহ, আরো কয়েক ডজন অভিবাসীকে অপহরণ করা হয়েছিল। দু 'দিন পর তারা সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।

সংগঠিত অপরাধচক্রগুলো মেক্সিকো জুড়ে ব্যাপক মানব পাচারের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। মেক্সিকোতে বছরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সহিংসতায় নিহত হন এবং এক লাখেরও বেশি মানুষের নিখোঁজ হওয়ার তথ্য নিবন্ধিত হন।

এসএইচ/এসিবি (রয়টার্স)