1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে বিক্ষোভ

২৫ জানুয়ারি ২০১৩

‘আরব বসন্ত’ না যেতেই কালবৈশাখি? মিশরের অবস্থা যেন সেরকমই৷ দু’বছর আগে হোসনি মোবারকের অপসারণ আন্দোলন শুরু করে তাতে সাফল্যও এসেছিল৷ দু’বছর পূর্তিতে সেখানেই চলছে সরকার বিরোধী আর পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ৷

https://p.dw.com/p/17RHo
ছবি: Reuters

সেই তাহরির স্কোয়ার, দু’বছর আগে যেখানে হোসনি মোবারককের বিদায়ের আগে ঘরে না ফেরার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ভিড় করেছিল হাজার হাজার প্রতিবাদী মানুষ, শুক্রবার সেখানেই অসংখ্য তরুণ নেমেছেন নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাতে৷ তা জানাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন তাঁরা৷ তাহরির স্কোয়ারের কাছের এক সরকারি দপ্তরের দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় তাঁদের৷ সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত৷ বিক্ষুব্ধদের প্রতিরোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ৷ তাদের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় চারপাশ ঢেকে যাওয়ার পরও কাজ হচ্ছিল না৷ সরকার বিরোধীরা ইট-পাটকেলের পর পেট্রোল বোমাও ছুড়তে শুরু করায় এক পর্যায়ে দাঙ্গা পুলিশকেও যোগ দিতে হয় বিক্ষুব্ধদের প্রতিরোধের কাজে৷ মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৬ জন আহত হয়েছে৷ প্রকৃত সংখ্যাটা অনেক বেশিই হওয়ার কথা৷

Ägypten Protest am Tahrir Platz in Kairo
২০১১ সালের অগাস্টে এভাবেই মোবারকের অপসারণ দাবি করেছিলেন বিক্ষোভকারীরাছবি: picture-alliance/dpa

মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ও তাঁর দল মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে অনেক দিন ধরেই৷ মুরসি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অন্তত দুটি বড় কারণে রাজপথে নামেন বিরোধী দলের সমর্থকরা৷ এক ডিক্রির মাধ্যমে মুরসি নিজের এবং তাঁর দলের ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে নিয়েছিলেন৷ বিরোধীদের অভিযোগ ছিল গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে স্বৈরতন্ত্র কায়েমের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই জারি করা হয়েছে ডিক্রিটি৷ এ নিয়ে যখন মিশর উত্তপ্ত তখনই মুরসি সরকার নেয় নতুন সংবিধান চূড়ান্ত করার উদ্যোগ৷ প্রস্তাবিত সংবিধানে সংখ্যালঘু এবং নারীদের অধিকারকে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম গুরুত্ব দেয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগে বিরোধী দল এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো সেই সংবিধান কার্যকর না করার দাবিতে আরো জোর বিক্ষোভ শুরু করে৷ তারপরও সংসদে উত্থাপন করে সংবিধানটির অনুমোদন নিয়েছেন মুরসি৷ বিরোধীদের দাবিকে কার্যত আমলে না নিয়ে গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানকে কার্যকর করার পথে সাংবিধানিক সব বাধাও দূর করে ফেলেছেন৷ এমন পরিস্থিতিতেই মিশর উদযাপন করছে হোসনি মোবারক বিরোধী আন্দোলনের সূচনার দু’বছর পূর্তি৷ সরকার বিরোধীরা মনে করছেন দু’বছরে কাঙ্খিত লক্ষ্যগুলোর একটিও পূরণ হয়নি৷ তাই তাহরির স্কোয়ারে শুক্রবারও দেখা গেছে ‘‘এই সরকারের পতন চায় জনগণ'' লেখা শত শত ব্যানার৷ দু’বছর আগে এমন ব্যানারই লেখা হয়েছিল হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে৷

তবে শুক্রবার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারতো সরকারি দল মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মী-সমর্থকরাও তাহরির স্কোয়ারে গেলে৷ সরকারের তরফ থেকে কর্মীদের সংঘাত এড়ানোর জন্য পথে না নামার নির্দেশ দেয়া হয়৷ মুসলমানদের সর্বশেষ এবং শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিন ঈদ-ই মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুরসি৷ সেখানে তিনি হোসনি মোবারক বিরোধী আন্দোলনের দু’বছর পূর্তিতে মিশরবাসীকে ‘‘সভ্য এবং শান্ত আচরণ'' করার আহ্বান জানান, যাতে ‘‘জাতি, জাতীয় প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষিত হয়৷''

এসিবি/এসি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য