1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মে মাসেই সব অ্যামেরিকান টিকা পেয়ে যাবেন’

৩ মার্চ ২০২১

করোনা সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে অ্যামেরিকা৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, মে মাসের মধ্যেই দেশের সব প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে৷

https://p.dw.com/p/3q8AW
জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস
জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসছবি: Evan Vucci/AP/picture alliance

কোনো দেশের সরকার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে কোনো উদ্যোগ নিলে তার সুফল কী হতে পারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জুলাই মাসের মধ্যে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিলেন৷ সামরিক বাহিনীসহ দেশের প্রায় সব সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান কাজে লাগিয়ে তাঁর প্রশাসন টিকাদান কর্মসূচিতে বাড়তি গতি আনতে পেরেছেন৷ এবার বেসরকারি ক্ষেত্রকেও সেই জরুরি উদ্যোগে সামিল করতে সফল হলেন বাইডেন৷ জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির সদ্য ছাড়পত্র পাওয়া টিকার উৎপাদনে গতি আনতে প্রতিপক্ষ মার্ক কোম্পানিকেও সেই উদ্যোগের ভাগীদার করতে পেরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

সরকারও সব রকম সহায়তার প্রস্তুতি নিয়েছে৷ মাত্র এক মাসের মধ্যে ১০ কোটি টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ ফলে মে মাসের মধ্যেই দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ করোনা ভাইরাসের টিকা নেবার সুযোগ পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন৷ জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির করোনা টিকার একটি মাত্র ডোজ থাকায় দ্বিগুণ গতিতে টিকাদান কর্মসূচি চালানো সম্ভব হবে বলে সরকার আশা করছে৷

দেশের কঠিন সময়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বা প্রথাগত প্রক্রিয়া আঁকড়ে ধরলে যে কাজ হয় না, বাইডেন শুরু থেকেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন৷ জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির সীমিত উৎপাদন ক্ষমতার কথা জানতে পেরে তিনি টিকা ছাড়পত্র পাবার আগেই নেপথ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন৷ সেইসঙ্গে যুদ্ধকালীন তৎপরতা নিশ্চিত করতে ‘ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যাক্ট’ নামের আইনও কার্যকর করে তার প্রশাসন৷ সেই আইনের বলে মার্ক কোন্পানির দুটি কারখানাকে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির টিকা উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়৷ বাইডেন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এভাবে বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা হয়েছিল৷ ফলে এবার ২৪ ঘণ্টা ধরে বিরামহীন উৎপাদনের মাধ্যমে অসাধ্যসাধন করা হবে৷ মার্ক কোম্পানি সে জন্য এক সরকারি দফতরের কাছ থেকে ২৬ কোটি ৮৮ লাখ ডলার পর্যন্ত পেতে পারে বলে জানিয়েছে৷

এমন সাফল্য সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট বাইডেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আচরণের উপরও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর গতি নির্ভর করবে৷ তারা সাবধানতা অবলম্বন করে চললে তবেই আরও ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করিয়ে দেন বাইডেন৷ অর্থাৎ তার মতে বিপদ এখনো কাটে নি এবং ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে৷ এত পরিমাণ টিকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াও বিশাল চ্যালেঞ্জ৷ সেই অবকাঠামো আরও মজবুত করে তোলার উদ্যোগ চলছে৷

করোনা ভাইরাসের টিকা উৎপাদন মার্কিন প্রশাসন এর আগেও পদক্ষেপ নিয়েছিল৷ জানুয়ারি মাসে সুইজারল্যান্ডের নোভার্টিস কোম্পানি ফাইজার-বায়োনটেক কোম্পানির টিকা উৎপাদন করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)