সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ তুলতে পারে জার্মানি
৬ এপ্রিল ২০১৬অস্ট্রিয়ার প্রচারমাধ্যম ওআরএফ-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডেমেজিয়ের বলেন, মার্চ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন শরণার্থী অস্ট্রিয়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে জার্মানিতে প্রবেশ করেছে৷ গত সেপ্টেম্বরে সংখ্যাটা ছিল প্রায় ১০ হাজার৷ সে কারণে অস্ট্রিয়া-জার্মানি সীমান্তে সাময়িক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে জার্মানি৷
শরণার্থী প্রবেশ ঠেকাতে অস্ট্রিয়া তাদের সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করায় এবং শরণার্থীদের ব্যবহার করা বলকান রুট বন্ধ করে দেয়ায় অস্ট্রিয়া থেকে জার্মানিতে শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যা কমেছে বলে জানান ডেমেজিয়ের৷
19051349
এদিকে, বলকান রুট বন্ধ থাকায় শরণার্থীরা এখন অস্ট্রিয়া-ইটালি সীমান্তের ‘ব্রেনার পাস' ব্যবহার করে অস্ট্রিয়া, জার্মানি সহ উত্তর ইউরোপের দেশগুলোতে আসার চেষ্টা করতে পারে৷ সেটা যদি হয় তাহলে অস্ট্রিয়া সেখানেও কড়াকড়ি নিয়ন্ত্রণ করবে বলে জানিয়েছে৷ এ ব্যাপারে অস্ট্রিয়াকে জার্মানির সহায়তা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির পরিবহণমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোবরিনড্ট৷ এর ফলে জার্মানিতে যে শরণার্থীরা স্বাগত নয় তেমন একটি সংকেত দেয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি৷ উল্লেখ্য, ডোবরিনড্ট-এর দল সিএসইউ সরকারের অংশ হলেও চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতির বড় সমালোচক৷
লেসবসে যাবেন পোপ
গ্রিসের লেসবসে থাকা শরণার্থীদের অবস্থা দেখতে আগামী সপ্তাহে সেখানে যাবেন পোপ ফ্রান্সিস৷ গ্রিসের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি বলছে, আগামী ১৪ কিংবা ১৫ তারিখ পোপ লেসবসে যাবেন৷ সঙ্গে থাকবেন ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চের প্রধান৷ গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস তাঁদের সঙ্গে থাকবেন৷
পোপ সেখানে এমন সময় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন যখন ইইউ-তুরস্ক চুক্তির আওতায় লেসবস সহ গ্রিসের অন্যান্য এলাকা থেকে প্রত্যাখ্যাত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তুরস্কে পাঠানো হচ্ছে৷ তবে এভাবে তুরস্ক যাওয়া ঠেকাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন লেসবসে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)
মে মাসে সীমান্তে নিয়ন্ত্রম তুলে দেওয়াটা কি জার্মানির উচিত হবে? আপনি কী মনে করেন?