1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-জাপান বন্ধন

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

উপমহাদেশের বাইরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রথম সফরে জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক বন্ধন নিবিড় করে দুই লাখ দশ হাজার কোটি টাকার জাপানি বিনিয়োগ প্রস্তাব সঙ্গে নিয়ে এলেন৷ অধরা রয়ে গেল বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি৷

https://p.dw.com/p/1D5QZ
Indien Narendra Modi Japan Shinzo Abe Besuch 1.9.
ছবি: picture-alliance/dpa

প্রধানমন্ত্রী মোদীর জাপান সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে কূটনৈতিক মহল৷ এশিয়া মহাদেশে আর্থিক ও সামরিকভাবে চীনের শক্তি বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ভারত ও জাপান৷ চীনের আগ্রাসী মনোভাব রুখতে আগামী দিনে ভারত ও জাপান কিভাবে একসঙ্গে এগোবে – সেই কৌশলগত বিষয়গুলি নিয়ে মত বিনিময় হয় দু'দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে৷ জাপানি শিল্পপতিদের এক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চীনের নাম উল্লেখ না করে জাপানের সঙ্গে পূর্ব চীন সমুদ্রের সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে আঞ্চলিক ভূখণ্ড বিবাদে পরোক্ষভাবে চীনের ‘সম্প্রসারণবাদ' মানসিকতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন৷

বিশ্বে এখনো দেখা যাচ্ছে অন্য দেশের ভূখণ্ডে সমুদ্রপথ ‘কব্জা' করার প্রবণতা৷ মোদী এবং শিনজো আবে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা পোক্ত করে চীনের বিরুদ্ধে পাল্টা শক্তির বার্তা দিয়েছেন৷ প্রত্যাশামত ভারত-জাপান বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি সই না হলেও বিশেষ স্ট্র্যাটিজিক ও বৈশ্বিক পার্টনারশিপ সংক্রান্ত টোকিও ঘোষণা-পত্রে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিবিড়তর করার কথা বলা হয়৷ তবে বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে – বলা হয় এ কথাও৷ পরমাণু ইস্যুতে জাপান বরাবরই স্পর্শকাতর৷ ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর সেটা আরো বেড়েছে৷ টোকিও অবশ্য পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে দিল্লির সদস্যপদ সমর্থন করে৷

Narendra Modi und Shinzo Abe 01.09.2014 in Tokio
মোদী এবং শিনজো আবেছবি: Reuters

মোদীর জাপান সফরের বড় সাফল্য অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ৷ আগামী পাঁচ বছরে জাপান ভারতে বিনিয়োগ করবে ৩৫০০ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার বা ২ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা৷ বিনিয়োগ করা হবে পরিকাঠামো উন্নয়ন, স্মার্ট সিটি প্রকল্প, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্প, শিক্ষা স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি এবং সাধের বুলেট ট্রেন যা চলবে আমেদাবাদ-মুম্বই রুটে৷ বুলেট ট্রেন চালাতে প্রতি কিলোমিটারে খরচ পড়বে প্রায় ১০০ কোটি টাকা৷ অন্যদিকে জাপানি প্রকল্পগুলিকে দ্রুত ছাডপত্র দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত৷ আরো উন্মুক্ত করা হবে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি৷ জাপান-ভারত বিনিয়োগ প্রোমোশন পার্টনারশিপ নিয়ে উভয় নেতা খুবই আশাবাদী৷

প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর জাপান যাত্রা শুরু করেন কিয়োটো শহর দিয়ে৷ তাঁর ঐ সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আকবরউদ্দিন জানান, ‘‘কিয়োটো শহর আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের এক প্রতীক৷ প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনি কেন্দ্র বারাণসীকে সেভাবেই গড়ে তুলতে চান৷ কূটনৈতিক মহল মনে করে, ভারতে ‘পুবে-তাকাও' নীতি পূর্ব এশিয়ার দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন মোদী৷ আবের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই আন্তরিক৷ মোদীকে স্বাগত জানাতে আবে ছুটে গেছেন কিয়োটোতে৷ মোদী তাই বেশ খোস মেজাজে তাঁর জাপান সফর শেষ করেছেন৷ বিশ্লেষকদের মতে, ভারত-জাপান কৌশলগত সহযোগিতা এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে ভারসাম্য আনতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য